
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সারা দেশের মসজিদে মসজিদে জুমার নামাজের পরে দোয়া এবং মন্দির, গির্জাসহ সব প্রার্থনালয়ে প্রার্থনা ও জুমার নামাজের শেষে ছাত্র-জনতার গণমিছিল বের হবে। তাদের কর্মসূচিতে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীর অন্যান্য এলাকার মতো উত্তরাতেও মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুরে উত্তরার অন্যান্য এলাকার পাশাপাশি বিএনএস সেন্টারের সামনে এবং বিপরীত দিকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত রয়েছেন। পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন সদস্যরাও উপস্থিত আছেন।
উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে দায়িত্বের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সবকিছুর নিরাপত্তার দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমরা এখানে দায়িত্ব পালন করছি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরিচালিত ‘কোটা পুনর্বহাল চলবে না’ টেলিগ্রাম গ্রুপে অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের এই ঘোষণা দেন। বিবৃতিতে, শ্রমিক, পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, বুদ্ধিজীবী, আলেম-ওলামাসহ বাংলাদেশের সব স্তরের নাগরিকদের আগামীকালের ‘প্রার্থনা ও ছাত্র জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সফল করার আহবান জানানো হয়।
সেখানে মসজিদের ইমাম ও খতিবদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলা হয়, আপনারা জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে চুপ থাকবেন না। মসজিদের মিম্বর থেকে প্রতিবাদের ঘোষণা দিন। মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আপনারাই জাতির দুর্দিনের কাণ্ডারি। এই দুঃসময়ে ঘরে বসে না থেকে গণহত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং ৯ দফা আদায়ের দাবিতে বাদ জুমা মসজিদ ও মাদ্রাসা থেকে ‘ছাত্র জনতার গণমিছিল’ মিছিল বের করুন।