
ফাঁস হওয়া প্রশ্নে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, পিএসসি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা তাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা থেকে কাজ করবে। সংসদে তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় হচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে এরই মধ্যে চেয়ারম্যান সাহেব বলেছেন। বিষয়গুলো প্রমাণ হতে হবে এবং তার জন্য প্রচেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি খুবই শক্তভাবে সরকার দেখছে। সিআইডি বিষয়টির ওপর স্পেশাল ফোকাস দিয়েছে। আমাদের চাকরিবিধি যেটি আছে, যদি সেটি কেউ ভঙ্গ করে, শঠতা বা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে, অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই চাকরিতে আসতে হবে। পিএসসিরও কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। সেখানেও কোনো ব্যত্যয় হয়েছে কি না, তার একটা ব্যাপার আছে। আমার মনে হয় আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। বিষয়টি সবার মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। আমরা গভীর মনোযোগের সঙ্গে বিষয়টি দেখছি।
তিনি বলেন, আবেদ আলী প্রশ্নফাঁস নিয়ে সত্য বলছেন, নাকি মিথ্যা, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখানে একটি কথা বলে রাখি, যে ড্রাইভার কথা বলছেন, তাকে আমরা দেখলাম অন্য একটি দলের স্লোগান দিচ্ছেন। আসলে এখানে কী হয়েছে? যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রমাণিত হবে যে সে সত্য বলছে নাকি মিথ্যা বলছে, ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, পিএসসির সাবেক গাড়িচালক একটি দলের ষড়যন্ত্রের ইনস্ট্রুমেন্ট হিসেবে কাজ করছে কি না, সেটাও দেখতে হবে। অনেকগুলো বিষয় কিন্তু এখানে আছে। সে তো একটি দলের হয়ে কাজ করছে, সরকারের ইমেজ নষ্ট করার জন্য। অনেকদিন আগে সে কাজের কারণে চাকরিচ্যুত হয়েছে।
তিনি বলেন, আবেদ আলী একটি দলের হয়ে, যারা মাঠে সরকার পতনের আন্দোলন করে, সরকারের উন্নয়নের কাজে বাধা দিতে চায়, তাদের হয়ে স্লোগান দিচ্ছে। আসলে সে কোন এজেন্ডা নিয়ে কথা বলছে, সেটি একটি বিষয়। তার কথা সত্য না মিথ্যা সেটি সরকারের পক্ষ থেকে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে অনুসন্ধান চলছে।