
বিএনপি নেতা নিপুন রায় চৌধুরী এবং ইশরাক হোসেন এখন ভারতের দিল্লিতে অবস্থান করছেন। ২৮ অক্টোবর সারাদেশে বিএনপির নৈরাজ্য এবং জ্বালাও পোড়াও মোটেও ভালভাবে নেয়নি প্রতিবেশী দেশ ভারত। আর তাই ভারতের মন গলাতে বিএনপির এই দুই নেতা ভারত সফরে গিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেখানে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চ মহলে বিএনপি এখন দেনদরবারে ব্যস্ত।
বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ২৮ অক্টোবরের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মেয়ে নিপুন রায় চৌধুরী নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন এবং তিনি বর্তমানে দিল্লির গুরগাঁওয়ে এয়ারটেল হেডকোইয়ার্টারের পাশে একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন।
জানা গেছে, নিপুন রায় চৌধুরী ভারতের বিজেপি’র নীতিনির্ধারণী মহলের সাথে বৈঠক করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর অর্থ খরচ করছেন।
নিপুন রায় চৌধুরী বাসে আগুন দেয়া এবং ভাঙচুরের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং তার নির্দেশেই কর্মীরা বাসে আগুন ও ভাঙচুরের কাজ করেছে। তিনি এক কর্মীকে বাসে আগুন দেয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন এমন একটি ফোনআলাপও ফাঁস হয়। সেখানে বাসে আগুন দিয়ে সেটির ছবি তাকে পাঠানোর নির্দেশনা দেন নিপুন রায়। এছাড়া বিভিন্ন লবিস্ট ফার্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের নামে দেশের বাইরে অপপ্রচার এবং ষড়যন্ত্রেও জড়িত তিনি।
অন্যদিকে লন্ডনে পলাতন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার অত্যন্ত বিশ্বস্ত নেতা এবং সম্প্রতি মিয়া আরেফি কাণ্ডের মূল হোতা ইশরাক হোসেন চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালের জেমস রোড এলাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, তারেকের নির্দেশে চেন্নাই থেকে ভারতের দিল্লিতে যেয়ে বিজেপির উর্ধ্বতন নেতাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে ইশরাক।
ইশরাক হোসেন এবং নিপুন রায় চৌধুরী ছাড়াও আরও অনেক নেতা এই মুহুর্তে ভারতে অবস্থান করছেন। তারা যেকোন উপায়ে এখন ভারতের মন গলাতে মরিয়া। কিন্তু তাদের এই চেষ্টা কাজে আসবে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে ভারত খুব শক্তভাবে বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্পষ্ট করেছে। ভারতে যেয়ে বিএনপি নেতারদের কোন দৌড়-ঝাঁপই এখন আর কাজে আসবে না।