Home জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শঙ্কা সম্প্রীতি বাংলাদেশের

নির্বাচন ঘিরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শঙ্কা সম্প্রীতি বাংলাদেশের

0
নির্বাচন ঘিরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শঙ্কা সম্প্রীতি বাংলাদেশের
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশে আবারও সাম্প্রদায়িক হামলা, নির্যাতন ও সহিংসতার শঙ্কার কথা জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন সম্প্রীতি বাংলাদেশ। সংগঠনটি বলছে, দেশে নির্বাচন এলেই সাম্প্রদায়িক নির্যাতন বেড়ে যায়। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশে হিন্দু সম্প্রদায় ভয়াবহ সময় পার করেছে। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে ঘটে যাওয়া ‌‘নির্বাচনী সহিংসতার’ পুনরাবৃত্তি কখনোই কাম্য নয়।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নেই’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও সম্প্রীতি বাংলাদেশের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, নির্বাচন এলেই সাম্প্রদায়িক নানা দাঙ্গা আমরা দেখতে পাই। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত নির্বাচন পরবর্তী হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেসব হামলা-ধর্ষণ হয়েছে, তা ইতিহাসের কালো অধ্যায়। আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে আমরা কোনো সাম্প্রদায়িকতা চাই না। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে আর কোনো সাম্প্রদায়িকতাকে আমরা মেনে নেব না।

তিনি বলেন, দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে দেশি-বিদেশি নানা অপশক্তি তৎপর। তারা দেশে আবারও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে চায়, আমাদেরকে সেটা রুখে দিতে হবে।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এগুলোকে প্রতিহত করতে হবে। আমরা যদি একত্রে সবাই মিলে দাঁড়াতে পারি, তাহলে তাদেরকে আমরা রুখতে পারব। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে, যতোই ষড়যন্ত্র থাকুক সেগুলো ছিন্ন করে বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িকতার দিকে নিয়ে যেতে হবে। সব ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে শান্তি-সমৃদ্ধির দিকে আমাদের এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি, ২০০১ সালের বাংলাদেশ আর দেখতে চাই না। ইসিকে বলেছি শক্তভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। ওই সময়ে যে ভয়াবহতা, নৃশংসতা, যে অত্যাচার হয়েছিল, তা প্রায় একাত্তর সালকে মনে করিয়ে দেয়। সে ব্যাপারগুলো আমরা বাংলাদেশ থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে চাই।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দিতে সমাজের সর্বস্তরে ঐক্য প্রয়োজন। ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ জলাঞ্জলি দিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। দেশে কালো অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি। যখনই সুযোগ পেয়েছে হিংস্র বিষধর নাগিনীরা ছোবল মারতে চেয়েছে।

তারা বলেন, আজ আমরা যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। হিংস্র শ্বাপদের দল মরণ কামড় দেওয়ার জন্য তৈরি আছে। আমাদের শত বছরের ঐতিহ্য, আমার অহংকার আজ হুমকির মুখে। এসব শ্বাপদকুলের সঙ্গে আমাদের মোকাবেলা অবশ্যম্ভাবী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here