Homeআন্তর্জাতিকঅস্ট্রেলিয়ায় মাতৃভাষার গুরুত্ব তুলে ধরায় বাংলাদেশের প্রশংসা

অস্ট্রেলিয়ায় মাতৃভাষার গুরুত্ব তুলে ধরায় বাংলাদেশের প্রশংসা

মাতৃভাষার গুরুত্ব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি (এসিটি) সরকারের মন্ত্রীসহ বহুভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিরা। এ উদ্যোগ সব জাতির ভাষা, আত্মপরিচয় ও নিজস্ব সংস্কৃতির স্বীকৃতি লাভে সহায়ক হবে।

অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বহু ভাষাভাষী ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে পালিত হয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

প্রভাতফেরিসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের এ আয়োজনে অংশ নেন এসিটি সরকারের পরিবেশ মন্ত্রী রেবেকা ভাসারীতি, বহুসংস্কৃতি বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী পিটার কেইন, অস্ট্রেলিয়ায় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. সিসো প্রামানোসহ কূটনৈতিক, অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সরকারি দফতরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন ভাষা-ভাষীদের প্রতিনিধি, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, পৃথিবীর সংখ্যালঘু ব্যক্তিদের ভাষা এখন ঝুঁকির সম্মুখীন। গত দুই শতাব্দীতে প্রায় দুই হাজার ভাষা বিলুপ্ত হয়েছে। যেকোনো ভাষার প্রতিটি শব্দ গভীর মর্মার্থ বহন করে। ভাষা হলো প্রতিটি জাতির সংস্কৃতি, আশা-অকাঙ্ক্ষা ও গৌরবোজ্জ্বল অতীতকে ধরে রাখার মাধ্যম।

ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত দীর্ঘ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্ভীক নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন তিনি। রিয়াদে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

এদিকে সৌদি আরবের রিয়াদে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন হয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও সৌদি অফিশিয়ালদের নিয়ে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ আল জারকানি ও কূটনৈতিক কোরের ডীন জিবুতির রাষ্ট্রদূত দায়া আদদীন সাঈদ বামাখারামা।

এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন- ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টফি ফারনড, সৌদি আরবের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হানি মানসি এবং ওআইসির রাজনৈতিক বিষয়ক সহকারী মহাসচিব ইউসেফ আল দুবেহ।

রাষ্ট্রদূত জাবেদ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে মাতৃভাষা বাংলা রক্ষার বিষয়ে বাঙালি জাতির অবদানের কথা বিদেশিদের কাছে তুলে ধরেন।

দিবসটি পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষা রক্ষার দাবিতে সংগ্রাম ও ভাষার অধিকার আদায়ের এক উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত। তিনি ভাষা আন্দোলনে ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা বর্ণনা করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, দ্রুতই পৃথিবী থেকে বিভিন্ন ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বাংলাদেশ সরকার মাতৃভাষা রক্ষার্থে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করেছেন।

অনুষ্ঠানে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নৃত্য পরিবেশন করে। এ সময় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র ও ১২টি ভাষায় একুশে ফেব্রুয়ারির গান পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে ১০ জন রাষ্ট্রদূতসহ ৪০ জন কূটনীতিক যোগ দেন।

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন