Homeআন্তর্জাতিকজি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে দিল্লি

জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে দিল্লি

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী গ্রুপ অব টোয়েন্টি বা জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন চলতি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে ভারতে। মূলত ভারতে ৪০ বছর পর এতবড় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতে চলেছে। আর এর আগে রাজধানী দিল্লিকে সাজানো হয়েছে নতুন করে।

১৯৮৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সম্মলেন। ৬০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ ১৪০টি দেশের প্রতিনিধিরা সেসময় এসেছিলেন দিল্লিতে। বিজ্ঞান ভবনে ফিদেল কাস্ত্রোর কাছ থেকে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সভাপতিত্বের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।

এর ৪০ বছর পর এবার দিল্লির প্রগতি ময়দানে বসছে জি-২০ দেশগুলোর শীর্ষনেতাদের সম্মেলন। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা আসছেন দিল্লিতে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির রাজধানীকেও তাই সাজানো হয়েছে নতুন করে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একের পর এক অতিথি এসে পৌঁছাবেন বৃহস্পতিবার রাত থেকে। এই সম্মেলনের জন্য দিল্লির প্রগতি ময়দানকে নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে।

আগে প্রগতি ময়দান ছিল স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গন। সেখানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা, বইমেলা থেকে শুরু করে অসংখ্য মেলা হতো। প্রতিটি রাজ্যের আলাদা প্যাভিলিয়ন ছিল। সেসব ভেঙে তৈরি করা হয়েছে বিশ্বমানের কনভেনশন সেন্টার। যার নাম ভরত মণ্ডপম। সেখানেই জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন হবে।

অসংখ্য গাড়ি আসবে। তার পার্কিংয়ের জন্য তৈরি করা হয়েছে ভূগর্ভস্থ পথ ও তার একপাশে পার্কিং লট। সেই ভূগর্ভস্থ পথের দুই ধারে দেওয়ালচিত্র বা গ্রাফিতি। তবে শুধু ভূগর্ভস্থ পথেই নয়, যে জায়গা দিয়ে অতিথিরা আসা-যাওয়া করবেন, সেখানেও দেওয়ালচিত্রে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঝকঝকে রাস্তা হয়েছে।

সন্ধ্যার পর আলোয় সেজে উঠছে ভারতের রাজধানী। রাষ্ট্রপতি ভবন, সংসদ, ইন্ডিয়া গেট, প্রগতি ময়দান, বিমানবন্দরের রাস্তা-সহ বিশাল এলাকায় লাগানো হয়েছে আলো। সেই মায়াবী আলোয় দিল্লি এখন মোহময়ী।

ভারত যে জি-২০ উপলক্ষ্যে শুধু তার উন্নয়নের শক্তি দেখাতে চায় তাই নয়, দেখাতে চায় সাস্কৃতিক ঐতিহ্যও। সেজন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে। তারও প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।

কিন্তু প্রদীপের নিচে সবসময়ই অন্ধকার থাকে। এখানেও অভিযোগ উঠেছে, জানুয়ারির পর থকে মধ্য দিল্লির প্রচুর ঝুপড়ি, ঝুগ্গি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মানুষদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি, বেআইনি দখলদারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সক্রিয় হয়ে প্রতিবাদও জানিয়েছে। তাদের দাবি, সবাই কর দেন। সেই করের টাকায় এই বিলাসবহুল আয়োজন করা হচ্ছে। সেই টাকাতেই গরিবদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

জি-২০ সম্মেলন হবে আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর। তার আগে থেকেই অতিথিরা আসতে শুরু করবেন। তাই ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লির একটা বড় অংশ বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে বাজার, দোকানপাটও।

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন