Home জাতীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে নিয়োগের দাবি

পুলিশ কর্মকর্তাদের বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে নিয়োগের দাবি

পুলিশ কর্মকর্তাদের বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে নিয়োগের দাবি
ছবিঃ সংগৃহীত

সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ প্রথম সারিতে রয়েছে। পুলিশ দেশের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের প্রমাণ দিতে পেরেছে। পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিয়র সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ কথা বলেন।

এ সময় বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে মহাপরিচালক হিসেবে পদায়নের দাবিও জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। বৈঠকে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এসব দাবি জানান। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত এ বৈঠক চলে।

পুলিশ কর্মকর্তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে আইজিপিকে চার তারকা জেনারেলের পদমর্যাদায় এবং পুলিশ অধিদপ্তরকে সদর দপ্তর করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ভারত ও পাকিস্তানে পুলিশ প্রধানের পদমর্যাদা চার তারকা জেনারেলের সমমানের।

আইজিপিকে চার তারকা জেনারেলের সমমানের মর্যাদা দিলে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উন্নত হবে।
প্রতিবছর ঢাকায় বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ঢাকার পুলিশ সুপারকে অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি জানিয়ে অপর এক পুলিশ কর্মকতা বলেন, আইজিপিকে আর্থিক ক্ষমতা সচিবের সমমানের দিতে হবে। তাতে আইজিপি সচিবের মতো আর্থিক অনুমোদন করতে পারবেন।

বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি তুলে ধরে আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এতে সেসব দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদসহ আইনি সহায়তা দিতে পারবে পুলিশ।

প্রশাসন ক্যাডারের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ নিয়ে গাড়ি কেনার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে পুলিশের আরেক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের সমমানের কর্মকর্তারা এই সুযোগ পেতে চান।

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মতবিনিময় সভা বাস্তবায়ন উপকমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত আইজিপি দেবদাস ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, র‍্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, এসবির অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার থেকে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, এবারের পুলিশ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ’ আমাকে আকৃষ্ট করেছে।

প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের ঘোষণা করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম অভিযাত্রী বাংলাদেশ পুলিশ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবারের পুলিশ সপ্তাহের বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দেশপ্রেম এবং পেশাদারিত্বের পরীক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ বার বার উত্তীর্ণ হয়েছে।’ এটা আপনাদের জন্য বড় স্বীকৃতি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।

পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জনগণকে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন বিষয়ের যৌক্তিক সমাধানে সরকার আন্তরিক।

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সাধারণ মানুষকে স্বাচ্ছন্দ্য প্রদানের জন্য পুলিশ দায়িত্ব পালন করে থাকে। প্রধানমন্ত্রী পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করেছেন, লজিস্টিক বাড়িয়েছেন, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। ফলে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে পুলিশ সফলভাবে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস দমন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি জনগণকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সেবা দিতে পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here