পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রফতানি ও জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান বাড়াতে পাটখাতের আমূল পরিবর্তন করতে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকার মতিঝিলে বাংলাদেশ জুট মিলস্ করপোরেশনের (বিজিএমসি) সম্মেলন কক্ষে জাতীয় পাট দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে আরও বৈচিত্র্য আনতে হবে এবং ক্রেতা আকৃষ্ট হয় এমন ডিজাইন উদ্ভাবন করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর সরকার গঠনের পরে যতগুলো বক্তৃতা দিয়েছেন প্রত্যেকটিতে পাট ও চামড়া শিল্পের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই এ বিষয়ে গুরুত্বসহকারে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, পাটশিল্পের বেসরকারি খাতের উদ্যোগকে আরও উৎসাহিত করা হবে। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে এ ব্যাপারে সফল হওয়া যাবে। পাটশিল্প এবং বেসরকারী খাতের উদ্যোগকে উৎসাহিত করার জন্য যা যা করণীয় তাই করবে সরকার। পাটপণ্যকে জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত হিসেবে তৈরি করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সেমিনারে ‘পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পাটকল সমিতির (বিজেএমএ) সভাপতি মো. আবুল হোসেন। এছাড়াও ‘পাট শিল্পের উন্নয়নে এর বহুমুখীকরণ, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদক ও রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মো. রাশেদুল করিম মুন্না। সেমিনারে পাটপণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর জোর দিয়ে এ খাতের উদ্যোক্তারা নানাবিধ পরামর্শ দেন।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মির্জা আজম, বস্ত্র ও পাট সচিব মোঃ আব্দুর রউফ এবং এ খাতের উদ্যোক্তারা।