Homeতথ্য প্রযুক্তিপ্রভাবশালী এআই ব্যক্তিত্ব রুম্মান

প্রভাবশালী এআই ব্যক্তিত্ব রুম্মান

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী এআই ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন ডেটা সায়েন্টিস্ট ড. রুম্মান চৌধুরী। গত বৃহস্পতিবার ম্যাগাজিনের ওয়েবসাইটে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়।

ডেটা সায়েন্স ও সোশ্যাল সায়েন্সের সমন্বয়ে ‘অ্যাপ্লাইড অ্যালগোরিদমিক এথিকস’ খাতে কাজ করেছেন রুম্মান চৌধুরী। নিজের লিঙ্কডইন বায়োতে তিনি লেখেন, ‘ছয় বছর ধরে আমি নৈতিক, ব্যাখ্যাযোগ্য এবং স্বচ্ছ এআইর জন্য অত্যাধুনিক সামাজিক-প্রযুক্তিগত সমাধান তৈরি করছি।’

এর আগে তিনি টুইটারের মেশিন লার্নিং এথিকস, ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউনটেবিলিটি (মেটা) দলের প্রধান ছিলেন, যাদের কাজ ছিল প্ল্যাটফর্মটিতে অ্যালগোরিদমিক হুমকি চিহ্নিত করা এবং ঝুঁকি কমানো।

১৯৮০ সালে নিউইয়র্কের রকল্যান্ড কাউন্টিতে জন্ম নেন রুম্মান চৌধুরী। ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞান নিয়ে কৌতূহলী ছিলেন। শিক্ষাজীবনে তিনি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স ও পলিটিক্যাল সায়েন্স বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্ট্যাটিসটিকস অ্যান্ড কোয়ানটিটেটিভ মেথডসের ওপর এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর সিলিকন ভ্যালিতে কাজের পাশাপাশি স্যান ডিয়েগোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পলিটিক্যাল সায়েন্সে পিএইচডি লাভ করেন।

ড. রুম্মান চৌধুরী মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিকতা ও মেশিন লার্নিং নিয়ে কাজ করেন। কীভাবে ডেটার ব্যবহারে মানুষকে পক্ষপাত থেকে মুক্ত করা যায় এবং কীভাবে সমাজের ওপর প্রযুক্তির প্রভাব যাচাই করা যায়, এসব বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি।

গত আগস্টের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে এক অনুষ্ঠানের সহআয়োজক ছিলেন তিনি। ওপেন এআই, গুগল এবং অ্যানথ্রপিকের চ্যাটবটগুলোর সিস্টেম ব্রেক করতে এতে প্রায় ৪ হাজার হ্যাকার অংশ নেন। সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ এআইকে তাদের নিজস্ব নিয়ম ভঙ্গ করাতে সক্ষম হলে হ্যাকারদের পয়েন্ট দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হ্যাকার বেশ কয়েকটি দুর্বলতা খুঁজে পান। এ সময় ড. রুম্মানের কাজের গুরুত্ব বড় আকারে সবার সামনে আসে।

হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাও রুম্মান চৌধুরী। সংস্থাটি মূলত কোনো প্রতিষ্ঠানের নির্দেশে তাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা দুর্বলতা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় রেড টিমিং। এভাবে কম্পিউটার সিস্টেমের ত্রুটি বের করে হ্যাকারদের পুরস্কৃত করা একটি প্রচলিত চর্চা।

সম্প্রতি প্রকাশিত টাইম ম্যাগাজিনের এ তালিকায় ড. রুম্মানের পাশাপাশি স্থান পেয়েছেন ওপেন এআইর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান, এক্স (সাবেক টুইটার) এআইর ইলন মাস্ক, কানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক জেফরি হিনটন, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফেই ফেই লি, গুগল ডিপ মাইন্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট পুশমিত কোহলি প্রমুখ।

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন