Homeরাজনীতিজনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বেসামাল বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বেসামাল বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আসবেন। তার আসার একটা বিষয় আছে, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তিনি আসবেন, সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। কিন্তু বিএনপি হয়তো মনে করেছে, নতুন করে আবার নিষেধাজ্ঞা দেয় কিনা? এ ধরনের উদ্ভট চিন্তা তাদের থাকতে পারে। আসলে তারা (বিএনপি) জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে।

রোববার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সংবাদ সম্মেলন মানেই অসত্যকে সত্য বলে চালানোর সুনিপুণ কৌশল। তাদের সংবাদ সম্মেলন মানেই সত্যকে পাশ কাটিয়ে অসত্য তুলে ধরা, ইতিহাস বিকৃতি করা, সংবিধান ও গণতন্ত্রকে অবজ্ঞা করা, চলমান উন্নয়ন অগ্রগতিকে অস্বীকার করা। বিএনপির নেতারা অতীত অপকর্ম ভুলে নিজেদের অপরাধের দায় অন্যের কাঁধে তুলে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। অসত্য বলতে পারাই বিএনপির নেতাদের প্রাথমিক ও মৌলিক চরিত্র। তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা নেতিবাচক রাজনীতিতে জড়িয়ে অবিরাম মিথ্যাচার ও অপপ্রচার অবলীলায় করে যেতে পারে। তারা রৌদ্রোজ্জ্বল দিনের আলোতে অমাবস্যার অন্ধকার দেখে।

তিনি বলেন, এখন নাকি দেশটা আমরা চালাচ্ছি না। দেশটা নাকি অদৃশ্য শক্তি চালাচ্ছে। অথচ এ সরকার ৪২ ভাগের ওপরে ভোট পেয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত। বাংলাদেশের ইতিহাসে শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বলতে যা বোঝায়-বর্তমান নির্বাচন কমিশন সেই রকম নির্বাচন করতে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। অথচ নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে তারা (বিএনপি) কথা বলেছে। আমি মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চাই, ২০০৯ সালের আগে বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা কার হাতে ছিল? তখন নির্বাচনব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সাব সার্ভিস ছিল। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় নির্বাচন কমিশন চলত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এ অবস্থা থেকে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ করতে অবিরাম প্রয়াস চালিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্টে আইন করে নির্বাচনব্যবস্থাকে স্বাধীন করে দিয়েছেন। সেই স্বাধীন কমিশনের অধীনেই পরবর্তী নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে একটা দল (বিএনপি) আছে। এ দলটি নির্বাচনে যাওয়ার জন্য এমন একটা নির্বাচন কমিশন চায়, যে কমিশন তাদের নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি দেবে। নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি না দিলে কোনো নির্বাচনই তাদের কাছে নিরপেক্ষ নয়, সুষ্ঠু নয়-সব নির্বাচনই হচ্ছে অগণতান্ত্রিক। যেহেতু তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি, বয়কট করেছে, আন্দোলন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে, সেজন্যই এ নির্বাচনব্যবস্থা খারাপ। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল খাদ্য নিরাপত্তার কথা বলেছেন।

আমি জানতে চাই, তাদের সময় দেশের মানুষকে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হতো কেন? অথচ ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করেনি, বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশকে আবারও খাদ্য ঘাটতির দিকে নিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অর্জনে বিশ্বের বিস্ময়। কিন্তু বিএনপি নেতারা কালো চশমা পরে আছে। তারা কালো চশমা পরে উন্নয়ন দেখতে পান না এবং অবিরাম মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, অদৃশ্য শক্তি দ্বারা সরকার পরিচালনা তো বিএনপির আদর্শিক চরিত্র। বিএনপির সময় অদৃশ্য অপশক্তি সরকার পরিচালনা করত। দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাওয়া ভবন ছিল সরকারের সমান্তরাল অপরাজনীতির বিকল্প শক্তি। হাওয়া ভবনের গডফাদার তারেকের অনুমোদন ছাড়া কিছুই হতো না। এই হাওয়া ভবন থেকেই মাস্টার প্ল্যান করে গ্রেনেড হামলা করা হয়। তাদের প্রাইম টার্গেট ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপ্নন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন