Homeসারাদেশউত্তরায় সেনা কর্মকর্তার মা খুন : বাসার দারোয়ানের ফাঁসি বহাল

উত্তরায় সেনা কর্মকর্তার মা খুন : বাসার দারোয়ানের ফাঁসি বহাল

রাজধানীর উত্তরায় সেনা কর্মকর্তার মাকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় বাসার দারোয়ান গোলাম নবী ওরফে নবীর ফাঁসি বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। অপর আসামি মোছা. লাইলী ওরফে লাবণ্যকে যাবজ্জীবন দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৯ সেপ্টেম্বর এ রায় দেন।রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট কোর্ট সূত্র বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছে।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাবিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল আজিজ মিন্টু।

এর আগে ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর উত্তরায় সেনা কর্মকর্তার মাকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় গোলাম নবী ওরফে নবীকে ফাঁসির দণ্ড দেন বিচারিক আদালত। অপর আসামি লাইলীকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল- ৩ এ রায় দেন।
পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা।

২০১৬ সালের ৪ জুন উত্তরায় নিজ বাড়িতে গলাকেটে হত্যা করা হয় মনোয়ারা বেগম নামের ওই বৃদ্ধাকে। তিনি উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে একা থাকতেন। তিনি সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালিদ বিন ইউসুফের মা।

ওই ঘটনার পর উত্তরায় র‍্যাব-১-এর কার্যালয়ে খুনের রহস্য উদঘাটন নিয়ে এক বিফ্রিংয়ের আয়োজন করা হয়। র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই ঘটনায় গোলাম নবী ওরফে নবী (২৫) ও মোছা. লাইলী ওরফে লাবণ্য নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মো. মাসুদের ভাষ্য, ওই বাসায় স্বর্ণালংকার ও অর্থ আত্মসাতের জন্য এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ঘটনার আগে ওই বাড়িতে ওঠেন লাবণ্য। পরে তিনি মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং কৌশলে বিভিন্ন বিষয় জেনে নেন। তার সুপারিশে গোলাম নবী দারোয়ান হিসেবে চাকরি পান। ৩০ মে নবী চাকরি ছেড়ে চলে যান। পরে লাইলীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে ২০১৬ সালের ৪ জুন এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। ঘটনার পরের দিন ৫ জুন খুনের মামলা করেন খালিদ বিন ইউসুফ।

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন