Homeজাতীয়সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন

সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন

নাইকো দুর্নীতি মামলায় নথি দেখে সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদন করা হয়েছে। রোববার (০৮ অক্টোবর) খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ আবেদন করেন।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত।

ওইদিন কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ওইদিন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন। এরপর তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এদিকে বিদেশি একজন সাক্ষী নেয়ার আবেদনের ওপর শুনানি করে দুদক। এ আবেদনটি করা হয় ২০১৮ সালে। শুনানি শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত। ওই সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বিষয়টি জানান।

এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর একই আদালতে খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করা হয়। ওইদিন সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী। এর বিরোধিতা করে দুদক। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মুলতবির আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আদেশ দেন আদালত।

চলতি বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অন্য সাত আসামি হলেন: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

 

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন