
সেই ১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক দিয়ে অংশগ্রহণ শুরু। এরপর থেকে প্রতিটি অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশি অ্যাথলেটরা। গত ৪০ বছরেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিশ্বের নবম জনবহুল দেশটি ‘অংশগ্রহণই মূল কথা’ এই নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। প্যারিস অলিম্পিকে বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছেন পাঁচজন। এবারও নেই পদকের প্রত্যাশা।
অলিম্পিকে আগের ১০ আসরে বাংলাদেশের ৪৯ ক্রীড়াবিদের কেউই পারেননি কোনো পদক এনে দিতে। এবারও যে পাঁচজন অংশ নিতে যাচ্ছেন, তাদের কাছ থেকেও পদকের প্রত্যাশা নেই। এবারের প্রতিযোগীদের মধ্যে চারজনই অলিম্পিক খেলতে যাচ্ছেন ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে। একমাত্র আর্চার সাগর ইসলামই যাচ্ছেন বাছাই পর্ব পার হয়ে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করে।
২০১৬ রিও অলিম্পিকে গলফার সিদ্দিকুর রহমান, ২০২১ টোকিও অলিম্পিকে আর্চার রোমান সানাই শুধু সাগরের আগে সরাসরি অলিম্পিকে অংশ নেয়ার কীর্তি গড়েছিলেন।
প্যারিস অলিম্পিকে বাংলাদেশিদের মিশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবারই (২৬ জুলাই)। ফ্রান্সের স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায় রিকার্ভ পুরুষ এককে নামবেন আর্চার সাগর ইসলাম।
আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬ জুলাই থেকে অলিম্পিক শুরু হলেও র্যাঙ্কিং রাউন্ডের খেলা আগামীকালই গড়াচ্ছে। ৬৪ জনের র্যাঙ্কিং রাউন্ডে পজিশনের ভিত্তিতে এলিমিনেশন পর্বের প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হবে। তাই এই পর্ব সাগরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সেরা আটে থাকার লক্ষ্য নিয়ে প্যারিসে গেছেন সাগর। র্যাঙ্কিং পর্বে ভালো করলে এলিমিনেশনে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ পেতে পারেন। শেষ পর্যন্ত সেরা আট বা ফাইনালে উঠতে পারলে যে কোনো কিছুই সম্ভব বলে বিশ্বাস তার।
সাগর ছাড়া আরও চার বাংলাদেশি এবারের অলিম্পিকে ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে অংশ নিচ্ছেন। তারা হলেন- শ্যুটার রবিউল ইসলাম, দুই সাঁতারু সামিউল ইসলাম রাফি ও সোনিয়া খাতুন, স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান।