চুয়াডাঙ্গা সীমান্তের মাথাভাঙ্গা নদীতে পড়ে মৃত এক যুবকের কোমর থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নাস্তিপুর গ্রামের সীমান্তের মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর পাচারের উদ্দেশে শরীরে বিশেষ কায়দায় রাখা ওই স্বর্ণের বারগুলো জব্দ করা হয়। উদ্ধার হওয়া ওই স্বর্ণের বারের ওজন ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম।
মৃত ওই যুবকের নাম মিরাজ হোসেন। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা নাস্তিপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, স্বর্ণ পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বাড়াদি বিওপির একটি টহল দল সীমান্তের নাস্তিপুর এলাকায় অবস্থান নেয় ।
রোববার বিকেলে দুজন পাচারকারী স্বর্ণসহ সীমান্তের ৮০/১ পিলারের পাশ দিয়ে মাথাভাঙ্গা নদী পার হয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একজন পানিতে ডুবে যায়। অন্যজন নদী সাঁতরে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে বিজিবি ও স্থানীয়রা মাথাভাঙ্গা নদী থেকে স্বর্ণ পাচারকারী মিরাজ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর মরদেহের শরীরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে বিজিবি।
এ ঘটনায় বাড়াদি বিওপির কমান্ডার নায়েব সুবেদার জাকির হোসেন বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা রাখা হবে। মরদেহের আইনগত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান বিজিবির ওই কর্মকর্তা।