Homeজাতীয়আলু-পেঁয়াজে দুর্বল হলেও চালে সবল, দাবি কৃষিমন্ত্রীর

আলু-পেঁয়াজে দুর্বল হলেও চালে সবল, দাবি কৃষিমন্ত্রীর

দেশের বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও চাল উৎপাদন ও বিপণনে ভালো অবস্থা রয়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে তিনি একথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘জুলাই থেকে এ পর্যন্ত এই মরা কার্তিকেও আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি। এদিক দিয়ে আমরা খুবই ভালো অবস্থায় আছি। গত বোরো মৌসুমে চাল সংগ্রহের যে টার্গেট নির্ধারণ করেছিলাম, সেটি অর্জিত হয়েও দুই লাখ টন বেশি সংগ্রহ করতে পেরেছি। এ মুহূর্তে বাজারে চালের দামে নিম্নমুখী ট্রেন্ড রয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে বাজারে চালের দাম কম, সরকারি দাম বেশি, যে জন্য মিলাররা আমাদের চাল দেয়ার জন্য খুবই আগ্রহী। এখনও তারা চাল দিতে চাচ্ছে।’

চালের দিক থেকে ভালো অবস্থানে থাকলেও আলু-পেঁয়াজে দুর্বলতা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক কৃষিপণ্যের দাম একটু অস্বাভাবিক বেশি। বিশেষ করে পেঁয়াজ ও আলু এই দুটি পণ্যের দাম বেশি। ডাল, তেল এগুলো তো রয়েছেই। এগুলো আমদানি নির্ভর, সেখানে আমরা খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারি না।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সমালোচনা করেন, আমরা পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। সেটি আমরা নিচ্ছি। সেটা আমাদের দুর্বল দিক।’

আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছেন কিনা, এমন প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘মোটেই হাল ছেড়ে দেইনি। আমরা এখনও যথেষ্ট তৎপর রয়েছি। উৎপাদনের পার্টটা হলো আমাদের কৃষি মন্ত্রণালয়ের। বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। তারপরেও আমি দায়িত্ব এড়াতে পারি না। কেবিনেট সিস্টেমে সব মন্ত্রীদের জয়েন্ট রেসপনসিবিলিটি আছে।’

কোল্ডস্টোরেজ মালিকরা অতি মুনাফা করছেন অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। তবে কোল্ডস্টোরেজের মালিকরা খুবই অসহযোগিতা করছে, তারা ঠিকমতো সরবরাহ করছে না। নানাভাবে আমাদের কর্মকর্তারা মাঠ লেভেলে তাদের চাপ সৃষ্টি করলে সাপ্লাই-ই দেয় না। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি।’

পেঁয়াজের দাম যাতে কৃষকরা পান সে জন্য আমদানি করা হচ্ছে না জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ আমাদের দেশে পর্যাপ্ত হয়, তবে এটি পচনশীল কৃষিপণ্য। এপ্রিল-মে মাসে পেঁয়াজ তোলা হয়, তারপরে দুই মাসের বেশি থাকে না। পেঁয়াজ পচে যায়, শুকিয়ে যায়, এজন্য পেঁয়াজ নিয়ে আমাদের সমস্যা। নভেম্বর-ডিসেম্বরে এসে আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। গতবছর যথেষ্ট পেঁয়াজ হয়েছিল, চাষিরা বিক্রি করতে পারেনি। আলুরও একই অবস্থা হয়েছিল, রাস্তায় ফেলে দিয়েছে, এবার উল্টো পরিস্থিতি। উৎপাদন কম হয়েছে এই সুযোগে কোল্ড স্টোরেজের মালিক ও আড়ৎদাররা ব্যাপকভাবে মুনাফা করছে।

পেঁয়াজ সংরক্ষণে নতুন প্রযুক্তি আনা হয়েছে জানিয়ে রাজ্জাক বলেন, ‘ওভাবে পেঁয়াজ রাখলে ৫ শতাংশও পচে না। ওই প্রযুক্তি যদি আমরা মাঠে নিয়ে যেতে পারি আগামী দুই বছরের মধ্যে বিদেশ থেকে কোনো পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না। এছাড়া বিজ্ঞানীরা নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। এতে হেক্টরে ৪০-৫০ টন উৎপাদন হয়। সব ঠিক থাকলে আগামী দিনে বাংলাদেশে পেঁয়াজের কোনো সমস্যা থাকবে না।’

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন