চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পরকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে ইমরান হোসেন নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্ত্রী ফারজানা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (৮ অক্টোবর) রাত ৮টায় হাজীগঞ্জ পৌরসভার মকিমাবাদ এলাকার ট্রাক রোডের আমেনা মঞ্জিলের দ্বিতীয় তলায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ইমরান হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন স্ত্রী ফারজানা আক্তারের পরকীয়া প্রেমিক আশিক হোসেন। তিনি শাহরাস্তি উপজেলার উয়ারুক এলাকার বাসিন্দা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২ মাস আগে বিদেশ থেকে দেশে ফেরেন ইমরান হোসেন। তিনি স্ত্রী ও শিশু সন্তান নিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারের ট্রাংক রোডের আমেনা মঞ্জিলের দ্বিতীয় তলার ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। রোববার সন্ধ্যায় ইমরান হোসেন তার ৫ বছরের শিশু সন্তানের জন্য রুটি কিনতে বাসার সামনে যান। এসময় আশিককে সেখানে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। একপর্যায়ে তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে যান ইমরান। কিন্তু বাসায় কথা কাটাকাটির জের ধরে ফারজানার সহায়তায় ইমরানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ইমরান। তাদের সন্তানের সামনেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, রাতে ওই বাসায় কান্নাকাটির আওয়াজ শুনে পাশের একটি অফিসে থাকা পুলিশের এক সদস্য ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এসময় সেখানে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। একপর্যায়ে বাসায় ৫ বছরের একশিশু তার বাবাকে হত্যার জন্য নিজের মা এবং আশিক নামে ওই যুবককে দেখিয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতি ওই নারীর প্রেমিক আশিক দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও পুলিশ ওই নারীকে আটক করে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, স্বামীর অনুপস্থিতিতে গৃহবধূ ফারজানা আক্তার আশিক নামে ওই যুবকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া ইমরান হোসেনের সঙ্গে বিয়ের পরও এই নারী দুই দফায় পালিয়ে যায়। পরে আত্মীয় স্বজনের হস্তক্ষেপে আবার স্বামীর সংসারে ফিরে আসেন।
তিনি আরও জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ইমরানের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় তার স্ত্রী ফারজানাকে আটক করা হয়েছে। তবে তার প্রেমিক আশিক পালিয়ে গেলেও তাকেও আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
