ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের চলমান সংঘাতে ইসরাইলকে সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সামরিক সহায়তার অংশ হিসেবে যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ, ফাইটার জেট ও রণতরি পাঠাবে দেশটি।
সোমবার (৯ অক্টোবর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলকে সহায়তা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছাকাছি একাধিক সামরিক জাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান পাঠাবে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে যে, হামাসের সর্বশেষ হামলাটি ইসরাইল-সৌদি আরব সম্পর্ককে ব্যাহত করতে চালানো হয়েছে।
অস্টিন বলেন, আমি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছি।
এদিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার (৮ অক্টোবর) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেছেন যে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য অতিরিক্ত সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ধারাবাহিকতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। হামাসের হামলার পর মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
শনিবার (৭ অক্টোবর) হামাসের হামলার পর থেকেই ইসরাইলের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশটির পশ্চিমা মিত্ররা। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা কয়েক দিনের মধ্যে ইসরাইল হাতে পাওয়া শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। লয়েড অস্টিন বলেন, এ সহায়তা ইসরাইলি বাহিনী ও নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অটুট সমর্থনকেই তুলে ধরেছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোর থেকে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে হামলা এবং অবৈধ বসতি স্থাপনের জবাব দিতে ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাসের রকেট হামলায় ইসরাইলে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০০ জনে। এ হামলায় আহত হয়েছেন ২ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি।
আর হামাসের হামলার জবাবে ইসরাইলের পাল্টা হামলায় গাজায় ৪১৩জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করছে ইসরাইল। গাজায় নিহত ৪১৩ জনের মধ্যে ৭৮ শিশু ও ৪১ জন নারী রয়েছে।