
বর্তমান পরিস্থিতি উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী চারটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন। এসব বৈঠক আজ শনিবার এবং রোববারের মধ্যে করবেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ ৪ বৈঠকের মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক, সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক।
শনিবার (৩ আগস্ট) গণভবন থেকে এ সব তথ্য জানা যায়।
আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, শনিবার দুপুরে গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেল ৪টায় শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
পরদিন রোববার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সঙ্গে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী পরে বিকেলে সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে বসবেন তিনি।
শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের দলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসে পরিস্থিতি শান্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
বৈঠকে বলা হয় সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখিয়ে চলমান পরিস্থিতি শান্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসবে এই তিন নেতা। এজন্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও অপর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। তবে এই দলে ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের যুক্ত করাও হতে পারে।
জানা গেছে, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে দেশে-বিদেশে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়েছে ক্ষমতাসীনরা। এমতাবস্থায় এখন তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে ভেবেচিন্তে পা ফেলতে চাইছে দলটি। তারা কোনো উসকানিতে পা না দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চায়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই। তবে তৃতীয় পক্ষ যেন তাদের ব্যবহার করে সুবিধা আদায় না করতে পারে সেদিকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলার জন্য বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাড়া-মহল্লায় সতর্ক থাকার জন্যও বলে দিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীদের ওপর কেউ যেন কোনো অন্যায় আচরণ না করে, সে নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।