Homeজাতীয়জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি একান্তই কাম্য : সিইসি

জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি একান্তই কাম্য : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, এর আগে যে আলোচনা হয়েছে, প্রতিটা দলই জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর কথা বলেছে। আমরা লক্ষ্য করছি, সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি একান্তই কাম্য।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে তৃণমূল বিএনপির ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

বৈঠকে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন সমশের মবিন চৌধুরী, মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার এবং দলটির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদার মেয়ে ও দলটির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, বৈঠকে তারা নির্বাচন কমিশন বরাবর ১২টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

ভোটে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আপনারা (তৃণমূল বিএনপির নেতা) আর্মির কথা বলেছেন। এর আগে যে ডায়লগগুলো হয়েছে প্রতিটা দলই আর্মির কথা বলেছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, সেনাবাহিনীর উপস্থিতি একান্তই কাম্য। পেশি শক্তি বলে একটা শক্তি গ্রাউন্ড লেভেলে থাকে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোট বিমুখতা আপনারা তৈরি করেছেন, আমরা করিনি। আমি সামান্য একটা চাকরি করতাম, মাসে মাসে বেতন পেতাম। পলিটিক্স কী, রাজনীতি কী, এত বড় চিন্তা ও সামর্থ্য আমার মাথায় ছিল না। আমার জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত।

সিইসি বলেন, মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নিতে আমাদের প্রচারণা থাকবে। কিন্তু রাজনীতি ও প্রার্থী যারা আছেন তাদের কাজ হবে ভোটারদের কাছে যাওয়া। প্রার্থী যতটা ভোটারের কাছে যেতে পারবে আমরা পারব না। ভোটারের কাছে আপনারা যে আবেদন করতে পারবেন সেটা আমরা পারব না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের তরফ থেকে যতটা সম্ভব করব। নির্বাচনটা সুষ্ঠু হচ্ছে কি না এটা দেখব। আপনারা দেখেন ভোটাররা কেন্দ্রে আসছেন কি না, কেউ বাধা দিচ্ছে কি না। কেউ বাধা দিতে পারবে না এই অপরাধ আমরা বন্ধ করিয়েছি। বিধান এনেছি, যদি বাধা দেওয়া হয় তাহলে ক্রিমিনাল অফেন্স হিসেবে নেওয়া হবে।

মিডিয়ার ভূমিকা প্রসঙ্গে হাবিবুল আউয়াল বলেন, অনেকে মিডিয়ার অ্যাকসেস প্রতিহত করার চেষ্টা করবে। আমরা বলেছি, মিডিয়া ভেতরে যেতে পারবে তাদের অ্যাকসেস লাগবে না। কেন্দ্রে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে নিজের প্রতিষ্ঠানের পরিচয় দিয়ে কেন্দ্রে ঢুকে ছবি নিতে পারবে। শুধু যেখানে কাস্টিং হচ্ছে সেখানে যেতে পারবে না। কেউ যদি দেখে কোথাও সিল মারা হচ্ছে এটাও প্রকাশ করবে। ভোট অবশই নিরপেক্ষ হতে হবে। ভোটারকে বাধা দেওয়া যাবে না। ভোটারের ফ্রিডম অব চয়েস থাকবে।

ভোটের মাঠে কালো টাকার ব্যবহার হয় উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আমাদের প্রার্থীদের হাতে প্রচুর কালো টাকা আছে, তাদের এ পকেটে হাত দিলে কালো টাকা, ওই পকেটে হাত দিলে কালো টাকা। পুরো পকেট ভর্তি কালো টাকা। কাজেই কালো টাকা ব্যবহার করতে আমাদের পেশি শক্তি ব্যবহার করতে হচ্ছে। কালো টাকা দিয়ে পেশি শক্তি সংগ্রহ করা হচ্ছে। পেশি শক্তিকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে জনগণের যে ভোটাধিকার সেটা অবশ্যই ব্যাহত হতে পারে।

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন