
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি দেবর ফিরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন স্বামী। এ পরিস্থিতিতে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে নিজ বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার গাড়ারন গ্রামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে দীর্ঘ দিন ধরে একাধিকবার ধর্ষণ করে আসছে প্রতিবেশি দেবর ফিরোজ মিয়া। ৫ অক্টোবর রাতে একই কৌশলে ধর্ষণের চেষ্টা করে ফিরোজের ছোট ভাই হযরত আলী। তখন নারীর ডাক চিৎকারে জনতার হাতে ধরা পড়ে হযরত আলী। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তার স্বামী তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
এদিকে ভুক্তভোগী ওই নারী ৮ অক্টোবর শ্রীপুর থানায় উপজেলার গাড়াণ গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে ফিরোজ মিয়া (৩৫) ও হযরত আলী (৩০) দুজনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
ভুক্তভোগী ওই নারীর মামাতো ভাই ছাইদুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে আমি থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। পুলিশ থানায় মামলা নেবে না বলে জানিয়েছে। এছাড়া হারিস মিয়া বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ২ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিল। স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা ও পুলিশ মামলা না নেওয়ার কারণে ওই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে বরমী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুবক ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারিস মিয়া বলেন, অভিযুক্ত ফিরোজ মিয়ার আত্মীয় সবুজ ও কবিরকে ভুক্তোভোগীর বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম। পরে ভুক্তভোগী ওই নারীর ভাইকে ২ লাখ টাকার কথা বলে সমাধানের কথা বলেছিলাম তারা রাজি হয়নি।
শ্রীপুর মডেল থানার ওসি আবুল ফজল মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আজকে মামলা হয়েছে।