অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সহায়তা প্রবেশে ইসরাইলের বাধা দেয়াকে মানবিক আইনের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে জর্ডান। সেইসঙ্গে ইসলাইলি অবরোধ তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে দেশটি বলছে, এটির সমাধান করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাতে জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদির বরাত দিয়ে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জর্ডানের রাষ্ট্রীয় ত্রাণ সংস্থা হাশেমি চ্যারিটেবল অর্গানাইজেশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে বিমান পাঠিয়েছে জর্ডান। এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পরিচালিত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সংস্থার জন্য ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি।
তবে গাজায় ত্রাণ বিতরণে ইসলাইল বাধা দিচ্ছে জানিয়ে আয়মান সাফাদি বলেন,
ইসরাইল পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুত বন্ধ করে দিয়েছে। সেইসঙ্গে গাজায় ক্রসিংয়ে ত্রাণ বিতরণে বাধা দিচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক ‘মানবিক মূল্যবোধ ও নীতির’ লঙ্ঘন।
এদিকে, ইসরাইলের বিমান হামলায় বিধ্বস্ত ও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরি অর্থ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। ফিলিস্তিনিদের জন্য সহায়তা হিসেবে ১০ লাখ রিঙ্গিত (২ লাখ ১২ হাজার ডলার) দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাম্বরি আবদুল কাদির। পাশাপাশি গাজায় খাদ্য, পানি ও জ্বালানি বন্ধ করে দেয়ায় ইসরাইলের নিন্দা করেছেন তিনি।
কয়েক দিনের বিমান হামলায় শত মায়ের বুক ফাটা আর্তনাদে ভারি অবরুদ্ধ গাজা। ছোট ছোট শিশুরা বাবা-মা হারিয়ে এখন অনাথ। কি তাদের ভবিষ্যৎ জানে না কেউ। অনেকে আবার জীবন বাঁচাতে ছেড়ে যাচ্ছেন প্রিয় আশ্রয়স্থল।
সবচেয়ে বিপর্যয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হাসাপাতালগুলো। প্রতিদিনই শতশত আহত শিশু-নারী-পুরুষ ভিড় করছেন। ইসরাইল অবরোধ দেয়ায় দেখা দিয়েছে চিকিৎসা সামগ্রীর তীব্র সংকট। অন্যদিকে জ্বালানি না থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বাধ্য হয়ে জেনারেটর ব্যবহার করেই চালানো হচ্ছে জরুরি চিকিৎসা।
এরমধ্যেই গাজায় দিনরাত নির্বিচার চলছে বোমাবর্ষণ। ধসে পড়েছে শত শত বাড়ি ও ভবন। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে অসংখ্য মানুষ। বাড়ছে লাশের সারি। বাসিন্দাদের আশ্রয় নেয়ার জায়গাও নেই। ফুরিয়ে আসছে খাবারও।