ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি আদায় করে নিয়েছেন বাংলাদেশ ওপেনার তানজিদ তামিম। তাও আবার ১২০-এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। যদিও এরপরই আউট হয়েছেন কুলদীপ যাদবের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে।
শার্দুল ঠাকুরের বলে এক রান নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন তামিম। যদিও ইনিংসের শুরুতে একের পর এক ডট দিয়ে ধুঁকছিলেন তিনি। পরে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তা পুষিয়ে নেন।
কুলদীপের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম। ৪৩ বলে তিনি করেন ৫১ রান। তাতে লিটনের সঙ্গে তার জুটি হয় ৯৩ রানের। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি। ২৪ বছর ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিলো ৬৯। নর্দাম্পটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে যা করেছিলেন মেহরাব অপি ও শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এক উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান ৯৪। লিটন কুমার দাস অপরাজিত আছেন ৪৫ বলে ৩৯ রান করে, তার সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত করেছেন এক রান।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) পুনেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। এদিন শুরুতে দারুণ সাবধানী ব্যাটিং করছিল টাইগাররা। একের পর এক ডট বল দিচ্ছিলেন লিটন। প্রথম রানটা করতেই ১৪ বল খেলেছেন তিনি। বুমরাহ ও সিরাজের বলগুলো সামলাতে একটু ভুগছিলেনই বাংলাদেশের দুই ওপেনার। এ সময়েই বুমরাহর ইয়র্কার কোনমতে ঠেকান তামিম। প্রথমে দেখে মনে হয়েছে, তামিম নিরাপদেই খেলেছেন। তবে পরে আল্ট্রা-এজে দেখা গেছে, বল আগে প্যাডে লেগেছে। বল ট্র্যাকিং নিশ্চিত করেছে, রিভিউ নিলে আউটই হতেন তানজিদ। পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলের ঘটনা এটি।
তবে এরপরই খোলস ছাড়তে থাকেন দুজনই। দারুণ সব শট খেলতে থাকেন। এরই মধ্যে নবম ওভারে চোট পান বল করতে আসা হার্দিক পান্ডিয়া। সে ওভারের বাকি বলগুলো করেন বিরাট কোহলি। পার্টটাইমার কোহলির সেই তিনবল অবশ্য নিরাপদেই ব্যাট করেছেন দুই টাইগার ব্যাটার। পাওয়ার প্লেটা দারুণ কাটায় বাংলাদেশ। কোনো উইকেট না হারিয়েই সংগ্রহ করে ৬৩ রান। শার্দুল ঠাকুরের করা পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে টানা তিনটি চার মারেন তামিম।