Homeশিক্ষা‘জীবন দিয়ে দেশের প্রতি ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জাতীয় চার নেতা’

‘জীবন দিয়ে দেশের প্রতি ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জাতীয় চার নেতা’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশিত পথে মহান মুক্তিযুদ্ধে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় চার নেতা। নিজেদের জীবন দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আনুগত্য, অসীম সাহস ও দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের পুত্র ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

সোমবার (৬ নভেম্বর) ঢাবির টিএসিতে ‘স্লোগান৭১’ এর আয়োজনে জেল হত্যা দিবস ও জাতীয় চারনেতা স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশিত পথে মহান মুক্তিযুদ্ধে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় চার নেতা। জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়ে গেছেন, কিন্তু বেঈমানি করেননি। নিজেদের জীবন দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আনুগত্য, অসীম সাহস ও দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তারা। এখান থেকে আমাদের নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অটুট থেকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজন হলে পিতার মতো আমরা নিজেরাও জীবন দিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে নানান ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কারো প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বাংলাদেশের নির্বাচন হবে না। ভারত, ইংল্যান্ডসহ উন্নত বিশ্বে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই নির্বাচন হবে।

সভায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কন্যা ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি বলেন, আমার আব্বাকে জেলখানায় দেখতে গেলাম, অনেক কথা হলো। আম্মা আব্বাকে বললো আপনার দুই মেয়ে আপনাকে নিয়ে খুব চিন্তা করে। আব্বা বললেন চিন্তা করো না, আমি খুব শ্রীঘই তোমাদের কাছে চলে আসবো। ৪ তারিখ বিকাল বেলায় জেলখানা থেকে আমাদের কাছে একটি ফোন আসল, আব্বা হয়ে গেল মৃতদেহ। আব্বা কথা রেখেছেন তিনি ঠিকই বাড়িতে ফিরে আসলেন, কিন্তু নিথরদেহে।

শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর দৌহিত্র প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেন, জাতীয় চার নেতা মৃত্যু অবধারিত জেনেও খন্দকার মোস্তাকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এই সাহস ও ত্যাগ এবং নেতার প্রতি আনুগত্য ও দেশের প্রতি ভালোবাসা বিরল।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা শারমিন আহমদ রিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমাদের দাবি ১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।

সভায় ‘স্লোগান’ ৭১ এর সভাপতি নয়ন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অমির সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডিন ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিক ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর হাসান সৈকত, স্লোগান’ ৭ এর উপদেষ্টা কাজল আব্দুল্লাহ, ‘স্লোগান’ ৭১ এর সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা ভূঁইয়া মো. ফয়েজউল্লাহ মানিক প্রমুখ।

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন