Homeসারাদেশপ্রধামমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে খুলনায় উৎসবের আমেজ

প্রধামমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে খুলনায় উৎসবের আমেজ

পদ্মা সেতু রেলপথে চলছে ট্রেন আর নিচে চলমান নৌকার আদলেই খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে তৈরি করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের জনসভা মঞ্চ। এ মঞ্চে দাঁড়িয়েই ১৩ নভেম্বর প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনসভা মঞ্চ তৈরির কাজ পরিদর্শন করেছেন।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।

নগরী ছেয়ে গেছে নেতাকর্মীদের তোরণ, ফেস্টুন আর ব্যানারে। যে দিকে তাকানো যাবে, সেদিকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুলনায় স্বাগত জানিয়ে টানানো বিশাল বিশাল এসব তোরণ, ব্যানার আর ফেস্টুন চোখে পড়বে সবার।

খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার খুলনায় আগমন একটা বিশাল ব্যাপার। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে দলীয় নেতাকর্মীরা সাধারণ জনগণের কাছে ছুটে যাচ্ছেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনাও তত বাড়ছে। ১৩ নভেম্বরের জনসভা সফল করতে এবং বিপুল জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রাতদিন পরিশ্রম করে চলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার উন্নয়নে সব সময় আন্তরিক। তার এ খুলনায় আগমন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তিনি।

মেয়র আর বলেন, সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে নগরীর প্রবেশ পথসহ প্রধান প্রধান সড়কে তৈরি করা হচ্ছে অসংখ্য তোরণ। ঐতিহাসিক খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন। এ জনসভা হবে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে খুলনায় স্মরণকালের সবচেয়ে বড়।

খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, জনসভার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার ২২টি প্রকল্প উদ্বোধন ও দুটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রকল্পগুলোর তালিকা আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো প্রকল্পের তালিকায় (প্রস্তাবিত) আছে ২২টি প্রকল্প। এর মধ্যে গণপূর্ত বিভাগের আটটি ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১০টি।

এছাড়া সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের প্রকল্পের মধ্যে আছে সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকোট্যুরিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত শেখেরটেক ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র।

উদ্বোধন প্রকল্পের তালিকায় আছে খুলনা সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা উন্নয়ন ও পুনর্বাসন প্রকল্প এবং খুলনা শহরে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খালিশপুর বিআইডিসি রোডে ড্রেন, ফুটপাত নির্মাণসহ রাস্তা প্রশস্তকরণ ও পুনর্নিমাণ কাজ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের তালিকায় আছে নগরীর দৌলতপুরে অতিরিক্ত পরিচালকের ছয়তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত অফিস ভবন।

এছাড়া ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য প্রকল্পের তালিকায় আছে খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাথাভাঙ্গা এলাকায় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নির্মাণ কাজ। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন দিঘলিয়া টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের পাঁচতলা অ্যাকাডেমিক কাম চারতলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণ কাজ।

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন