
শহীদ উদ্দিন খান- এক প্রতারকের নাম
সেনাবাহিনীতে অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, ক্রয়ক্ষেত্রে দুর্নীতি, সীমান্তে চোরাচালান এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে কোটমার্শালে চাকরিচ্যুত
পরবর্তীতে ডেভেলপার কোম্পানি খুলে সাধারণ মানুষের শত কোটি টাকা আত্মসাৎ, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর তাকে সস্ত্রীক ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। বিচার এড়াতে স্বপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যায় এই প্রতারক।
তবে থেমে থাকেনি তার অপকর্ম
প্রায়শই ফেসবুক লাইভে এসে বিশেষজ্ঞ মতামতের ছদ্মবেশে বিভিন্ন অপপ্রচার চালায় সে, কিন্তু আপনারা কী জানেন- তার কালিমালিপ্ত ক্যারিয়ারের সীমাহীন অপকর্মের খতিয়ান?
২০০১ – ২০০২ সাল: চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ১৭ ইস্ট বেঙ্গলের দায়িত্বে ছিলেন অধিনায়ক হিসেবে
ব্যক্তিগত দেহরক্ষীদের দিয়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের যোগসাজশে প্রভাব খাটিয়ে জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রাম ১৩ ও ১৪ আসন থেকে কর্নেল অলিকে জেতানোর অপচেষ্টা করেন তিনি
এরপর জাতিসংঘ মিশনে কঙ্গোতে গেলেও অপরাধের নেশায় সে মিথ্যাচার করে মিশন অর্ধসমাপ্ত রেখেই দেশে ফেরেন এরপর রাজনৈতিক তদবিরের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নে যোগ দেয়
২০০৪ সাল: বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন-উর-রশীদ ও তার স্ত্রী সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়ার সঙ্গে জোট বেধে সীমান্তে গড়ে তোলে চোরাচালান চক্র
তাকে সতর্ক করা হলে কমান্ডিং অফিসারের নামে মিথ্যা অভিযোগের বেনামি চিঠি পাঠিয়ে সেনাসদরকে বিব্রত করেন
২০১৪ সালে ‘উচ্চ শিক্ষা’র গবেষণার অংশ হিসেবে পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার ছদ্মবেশে নানাবিধ অনৈতিক সুবিধা নেয়, পরবর্তীতে বিষয়টি ভুয়া প্রমাণিত হয়
এছাড়াও সাবেক সেনা পরিচয় ব্যবহার করে সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরি প্রদান, বদলি, পদোন্নতিতে প্রভাব খাটানোর নামে প্রতারণার মাধ্যমে গড়ে তোলে টাকার পাহাড়
রাজধানীর বারিধারার ফ্ল্যাট
এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে ২৬ কোটি টাকার এফডিআর ,ইস্টার্ন ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার এফডিআরসহ বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার।
এছাড়াও ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছে প্রায় দেড় কোটি ডলার, যার সব নথি এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।
সময় হয়েছে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুসারে-
দণ্ডিত অপরাধী শহীদ উদ্দিন খানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার..