Homeসর্বশেষস্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুই ক্রিকেটারকে অপহরণের চেষ্টা

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুই ক্রিকেটারকে অপহরণের চেষ্টা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতর থেকে দুই তরুণ ক্রিকেটারকে অপহরণের চেষ্টা অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিকের মোবাইল ভেঙে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, হাসপাতাল চত্বরে সন্ত্রাসীরা দুই তরুণ ক্রিকেটরকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকের মোবাইল ভাংচুর করে ও তার চশমা ভেঙে ফেলে। এছাড়া তারা প্রেসক্লাব সভাপতির পকেট থেকে নগদ টাকাও ছিনিয়ে নেয়। এমনকি তারা ওই দুই যুবকের তিনটি মোবাইল ও একটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে ধারালো অস্ত্রসহ মহড়া দেয়। পরে স্থানীয়দের বাধায় ওই দুই যুবককে ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বায়েক ও কান্দারপাড় গ্রামের হেবজু মিয়ার পুত্র ইবান মিয়া ও ওয়াশিম মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে ঢোকে । এ সময় স্থানীয় ক্রিকেটার ও কলেজ ছাত্র অপু মিয়া এবং অন্তর মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এছাড়া সন্ত্রাসীরা কমান্ডো স্টাইলে তাদের অপহরণের চেষ্টার মুহুর্তে কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি মোঃ সোলেমান খান ঘটনাটি তার মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করতে থাকলে সন্ত্রাসীরা তার উপর চড়াও হয় এবং তার মোবাইল ফোন ও চশমা ভেঙে ফেলে। এমনকি তার পকেট থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া তারা অপুর দুটি মোবাইল ও অন্তরের একটি মোটরসাইকেল, একটি মোবাইল সেট ও নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

অভিযোগকারী অপু মিয়া বলেন, আমরা দুই বন্ধু গিয়েছিলাম হাসপাতালে রোগী দেখতে। সেখানে গিয়ে আকষ্মিকভাবে হামলার শিকার হই। আমাদেরকে এরা উঠিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। এ সময় এক সাংবাদিক মোবাইলে ভিডিও ধারণ করলে তারা সাংবাদিকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এবং মোবাইল চশমা ভেঙে ফেলে।

কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন সাংবাদিকদের জানান, ইবান ও ওয়াসীমের নেতৃত্বে যারা এসেছিল এরা সবাই খারাপ প্রকৃতির লোক। সীমান্ত এলাকায় এরা নানা রকম অপকর্মে জড়িত। তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমি কসবা থানার অফিসার ইনর্চাজকে বলেছি।

কসবা উপজেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদক মুন্সী রুহুল আমিন বলেন, কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এখন মাদকসেবী, চোরা কারবারি ও দালালদের নিকট জিম্মি। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডাঃ একরাম উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমন ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। আমি এ বিষয়ে পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।

কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ রাজু আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন