মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের নয় থেকে দশটি গ্রামের মানুষ জেলা শহরে যাতায়াত করতে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হন রশি টেনে। এরই মধ্যে এভাবে যাতায়াত করতে গিয়ে ঘটেছে একাধিক দুর্ঘটনা।
খরস্রোতা মনু নদী উপজেলার সাবিয়া, মুমরুজপুর ও বালিকান্দিসহ নয় থেকে দশটি গ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে জেলা শহর থেকে।
রোববারও (৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, এসব গ্রামের মানুষ নদীর তিনটি খেয়াঘাট সাবিয়া-পশ্চিম বাজার, বড়হাট ও বালিকান্দি দিয়ে রশিটানা নৌকায় যাতায়াত করছেন। উত্তাল এ নদী পারাপারে শিশু ছাড়াও ঝুঁকি নিচ্ছেন বৃদ্ধরা।
স্থানীয় লোকজন জানান, সম্প্রতি নদীতে পড়ে একজনের সলিল সমাধি হয়েছে। এছাড়াও ছোট-বড় দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে।
সাবিয়া গ্রামের বাবুল দেব জানান, নদীতে একটি ব্রিজের আশায় অনেক দিন ধরে তারা আন্দোলন-সংগ্রাম করছেন। স্থানীয়ভাবে ব্রিজের আশ্বাস দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
রশিটেনে নদী পার হওয়া শিক্ষার্থীরা জানায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা সঠিক সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হতে পারে না। নৌকা ধরতে গিয়ে ক্লাসের সময় চলে যায়। এছাড়াও নৌকা পাড়ি দিতে গিয়ে তাদের ভীতির মধ্যে থাকতে হয়।
মৌলভীবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘মনু নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা রয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রীর নির্দেশে এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক এবাদত আলী নদী এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।’