Homeজাতীয়ম্যাক্রোঁ ও ল্যাভরভের ঢাকা সফর নিয়ে যা বলছেন বিশ্লেষকরা

ম্যাক্রোঁ ও ল্যাভরভের ঢাকা সফর নিয়ে যা বলছেন বিশ্লেষকরা

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ঢাকা সফর নিয়ে মহাকর্মযজ্ঞ চলছে বাংলাদেশের কূটনীতির অঙ্গনে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ, আর ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। দুটি সফরই ঢাকার কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, প্রায় ৩৩ বছর পর ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন, আর কোনো রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকায় আসার ঘটনা এটাই হবে প্রথম।

পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের বৈশ্বিক এলিট মঞ্চে বাংলাদেশকে জায়গা করে দেয়া মহাস্থাপনার নাম ধীরে ধীরে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। নানা চ্যালেঞ্জ-গ্যাঁড়াকল পেরিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুরের নির্মাণযজ্ঞে কারিগরি ও আর্থিক দুই ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের সহযোগী মুক্তিযুদ্ধকালের পরম বন্ধু রাশিয়া।

আর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে শুরুর দিকেই স্বীকৃতি দানকারী ফ্রান্সের সঙ্গেও সম্পর্ক এগিয়ে চলেছে উষ্ণতা নিয়েই। বাংলাদেশের রফতানির অন্যতম বড় বাজার ফ্রান্স। অর্থনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মাণসহ প্রযুক্তি খাতেও সহায়তা আসছে ফ্রান্সের কাছ থেকে। আবার কোভিড মহামারি কিংবা জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় ফ্রান্স পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে।

তাই কৌশলগত দিক থেকে এ দুই ব্যক্তির সফরই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা ক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলা আর কৌশলগত কারণে বিশ্বনেতাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ফরাসি প্রেসিডেন্টের সফর বাংলাদেশে দেশটির বিনিয়োগ টানতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন তারা।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, জি-২০ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে আসবে। সেই মুহূর্তে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের এ সফরের দিকে অন্য দেশের নীতিনির্ধারকদেরও নজর থাকবে। এটা একটা বড় বিষয়। এতে অন্য দেশও কিন্তু সমানভাবে গুরুত্ব দিতে চেষ্টা করবে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, উচ্চপর্যায়ের এসব সফরকে বিনিয়োগ টানাসহ নানা ক্ষেত্রে নিজেদের অনুকূলে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে পারে ঢাকা।

তিনি বলেন, এখানে বাংলাদেশে বিনিয়োগেরও একটি সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা কোন কোন দেশের সঙ্গে কোন কোন খাতে এ সুযোগ কাজে লাগাব সেটিও বিবেচনা করতে হবে।

উচ্চপর্যায়ের এসব সফরের মধ্যেই আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতে জি-২০ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে অতিথি রাষ্ট্রের সরকারপ্রধান হিসেবে একই মঞ্চে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন