বৈরী আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। সাইক্লোনের আঘাত ও ভারি বৃষ্টিতে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ জনে। তুরস্কের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় মারা গেছেন ৭ জন। এছাড়া স্পেন, বুলগেরিয়া ও গ্রিসেও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাস্তা-ঘাট ডুবে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন গ্রিসের উপকূলীয় বন্দর নগরী ভলোসের বাসিন্দারা। পাওয়া গেছে প্রাণহানির খবরও। লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় বাসিন্দাদের উদ্ধারে নেমেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। দুর্ভোগের একই চিত্র দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের স্কিয়াথোস দ্বীপেও।
শুধু গ্রিস নয়, বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়েছে ব্রাজিলও। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রিও গ্র্যান্ডে দে সুল রাজ্যে সাইক্লোন ও ভারি বৃষ্টিতে উপড়ে পড়েছে গাছ-পালা, বিধ্বস্ত হয়েছে ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ জনে। প্লাবিত নিম্নাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধারে তৎপর উদ্ধারকর্মীরা।
প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলেও। বুধবার আকস্মিক বন্যার কারণে কয়েকটি কন্টেইনার উল্টে বেশ কয়েকজন হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
বন্যার কারণে বুলগেরিয়ার বুরগাস শহরের একটি পর্যটক স্পটে কয়েকজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে এরইমধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে অর্ধশতাধিক পর্যটককে।
এদিকে, স্পেনের মধ্যাঞ্চলে চলমান বন্যায় কয়েকজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। তাদের উদ্ধারে তৎপর রয়েছেন শতাধিক উদ্ধারকর্মী। আর ভেঙে পড়া সেতু মেরামত করে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় সচল করতে মাঠে নেমেছে দেশটির সেনা সদস্যরা।
অন্যদিকে, টাইফুন হাইকুইয়ের আঘাতের পর চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে এখনো অব্যহত রয়েছে উদ্ধার কার্যক্রম।