কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় নলকূপ চুরির অপবাদে রাসেল মিয়া নামে এক যুবককে হাত-পা বেঁধে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামের মনিমির্জার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নির্যাতনের অভিযোগে বড়কান্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলম মিয়ার নামে মামলা হয়েছে।
নির্যাতিত যুবক রাসেল মিয়া (৩০) কুমিল্লা হোমনা উপজেলার চম্পকনগর গ্রামের বাসিন্দা।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বড়কান্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলম মিয়া অভিযুক্ত যুবক রাসেলকে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন। এ সময় তার সঙ্গে স্থানীয় আরও কয়েকজন ছিলেন। রাসেল মিয়া অনেক আকুতি মিনতি করেন। তারপরও আলম মিয়া আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে রাসেলকে হাত পা বেঁধে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে পেটাতে থাকেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিনে ওই এলাকার বেশকিছু নলকূপ চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটে। গতকাল রাসেল মিয়া নামে ওই যুবককে হাতে নাতে এলাকাবাসী ধরে ইউপি সদস্য আলম মিয়ার কাছে নিয়ে যায়। তখন তিনি রাসেলকে হাত-পা বেঁধে গাছে ঝুলিয়ে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন।
মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন বলেন, এমন ভাবে একজনকে হাত পা বেঁধে গাছে ঝুলিয়ে লাঠি দিয়ে পেটানো খুবই জঘন্য কাজ হয়েছে। তিনি কোনো ভাবেই নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারেন না। ইউপি সদস্য আলমের নামে ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। প্রশাসন ইউপি সদস্য আলমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিবে।
এই ঘটনায় মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে অভিযুক্ত রাসেল মিয়াকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। এই ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি রাসেলের নামে চুরির অভিযোগে। আরেকটি পেনাল কোডে ইউপি সদস্য আলম মিয়ার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী রাসেলের স্ত্রী নাসিমা বেগম বাদী হয়ে ইউপি সদস্য আলম মিয়াকে এজাহারনামীয় এবং ৬/৭ জন অজ্ঞাত নামীয় মামলা করেছেন। আমরা ইউপি সদস্য আলম মিয়া গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছি।
