নওগাঁর নিয়ামতপুর ৫০ শয্যা হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীর জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিনের সরবরাহ রয়েছে। তবে গ্রামাঞ্চলের মানুষের অসচেতন থাকায় দুই মাসের ব্যবধানে উপজেলায় সাপের কামড়ে ১০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সাপের কামড়ে জিয়াউর রহমান নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিষাক্ত সাপ কামড়ালে তার জন্য অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ ও এটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোধ করার জন্য যেসব জিনিস প্রয়োজন তা আমাদের মজুত রয়েছে। দুই মাসের ব্যবধানে সাপে কেটে উপজেলায় আটজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দু’মাসে ব্যবধানে উপজেলায় সাপের কামড়ে রোগী সংখ্যা বাড়ছে। তবে অসচেতনতার কারণে প্রথমে রোগীকে ওঝার নিকট নিয়ে যায়। এরপর রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। এজন্যই সাপে কামড়ে মৃত্যুর পাল্লা ভারী হচ্ছে। সাপে কেটে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের প্রত্যেককেই বিষাক্ত (চিতা বড়া) সাপে কেটেছে এবং ঘুমের মধ্যেই এদের দংশন করেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুব-উল আলম বলেন, সাপে কাটার পর অনেকে ওঝা বা কবিরাজের নিকট নিয়ে যায়। যখন রোগীর অবস্থা খারাপ হয় তখন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ফলে সেই সময়ে ডাক্তারদের কিছুই করার থাকে না। এ জন্য কোনো ওঝা বা কবিরাজের নিকট না গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে বিনামূল্যে সেবা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।