আইপিএল, সিপিএলের মতো টি-২০ ক্রিকেটের যুগে সাড়া ফেলেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-২০ বা সিএল টি-২০। কিন্তু ২০১৪ সালের পর আসরটি আর মাঠে গড়ায়নি। ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো করে ২০০৯ সালে শুরু করা হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-২০।
দশ বছর পরে ওই আসর আবার ফিরিয়ে আনার আলোচনা শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। তবে ভিন্ন ভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগ ও আইসিসির টুর্নামেন্টের সূচির সঙ্গে সমন্বয় করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-২০’র জন্য সময় বের করাটাই মূল চ্যালেঞ্জ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ক্রিকেট ভিক্টোরিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক কামিন্স।
তিনি বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা একটু আগেই মাঠে নামানো হয়েছিল। ওই সময় ধারণাটি যথেষ্ট পরিপক্ক ছিল না। তবে এখন এটা আবার শুরু করার সময়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্রিকেটের বিষয়ে বিসিসিআই, সিএ এবং ইসিবির মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে আমি জানি। এটার জন্য এখন শুধু আইসিসির থেকে সময় বের করা দরকার।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-২০’র সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন ছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়েছিল তারা। ওই আসরে আইপিএল থেকে তিনটি, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার লিগ থেকে দুটি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড থেকে একটি করে দল অংশ নিয়েছিল। এরই মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দুনিয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের লিগ সাড়া ফেলায় নতুনত্ব আনার প্রয়োজন পড়বে আয়োজকদের।
ক্রিকেট ভিক্টোরিয়ার প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্রিকেটের বিষয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলির সঙ্গে তার কথা হয়েছে, ‘আমি নিক হকলির সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছি। কারণ আমি মনে করি, এটা ফিরিয়ে আনা গুরুত্বপূর্ণ। জয় শাহ’র সঙ্গেও আলাপের বিষয় আছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার দিক থেকে যথেষ্ট আগ্রহ আছে। ক্রিকেট বিবর্তনের এটাই পরবর্তী ধাপ।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আইপিএলে খেলতে পারে না পাকিস্তানের ক্রিকেটার। ভারতের ক্রিকেটাররা খেলেন না অন্য দেশের লিগে। তাহলে আইপিএল, পিএসএল সেরা নাকি বিগ ব্যাশ এই প্রশ্নের উত্তর হতে পারে সিএল টি-২০। এমনই মন্তব্য করেছেন নিক কামিন্স, ‘মেলবোর্নের বিপক্ষে যখন মুম্বাই বা করাচি কিংস খেলবে তখনই বোঝা যাবে কে সেরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবলের দিকে দেখুন, বিশ্বকাপ অবশ্যই দুর্দান্ত কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল প্রতিবছর অসাধারণ উন্মাদনা তৈরি করে চলেছে।’