Homeসারাদেশপ্রথমে ট্রাকের নিচে, পরে নদীতে ঝাঁপ কলেজছাত্রীর!

প্রথমে ট্রাকের নিচে, পরে নদীতে ঝাঁপ কলেজছাত্রীর!

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আত্মহত্যা করতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু থেকে মহানন্দা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন এক কলেজছাত্রী। পরে বিজিবির সহযোগিতায় ওই কলেজছাত্রীকে নদী থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নদীতে ঝাঁপ দেয়ার আগে সেতুর ওপরে ট্রাকসহ কয়েকটি যানবাহনের সামনে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই কলেজছাত্রী।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার বারোঘরিয়ায় বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুতে এ ঘটনা ঘটে।

বর্তমানে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। আহত ছাত্রী মুনজিলা হক টুসি (২১) চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলেটেকনিক ইনস্টিটিউটের ফুড বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী ও সদর উপজেলার বারোঘরিয়া ইউনিয়নের লাহারপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শী, উদ্ধারকারী, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ঝাঁপ দেয়ার পর কলেজছাত্রী টুসিকে নদী থেকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও উদ্ধারকারী ইয়ামিন শুভ ও শামীম আহমেদ জানান, ব্রিজের ওপর থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন ওই মেয়ে। এরপর অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও কেউই উদ্ধারে এগিয়ে যায়নি। পরে ব্রিজ চত্বরে থাকা বিজিবি সদস্যদের অনুরোধে স্থানীয়রা নদীতে নেমে তাকে উদ্ধার করে। এসময় বিজিবি সদস্যরা উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করে।

প্রত্যক্ষদর্শী তামিম হাসান বলেন, ‘ব্রিজের ওপর থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয়ার আগে ইচ্ছে করেই কয়েকটি গাড়ির সামনে গিয়ে ঝাঁপ দেয় ওই মেয়ে। কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় গাড়িগুলো ধীরগতিতে থাকায় নিয়ন্ত্রণ করে নেয়ার ফলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। পরে উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। এ ঘটনা আমিসহ এখানে থাকা অনেকেই দেখেছে।’

এবিষয়ে ৫৩ বিজিবি (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘নদীতে এক মেয়ে ঝাঁপ দেয়ার ঘটনাটি বিজিবি চেকপোস্টের কাছাকাছি এলাকায় হয়েছে। কিন্তু কেউই দায়িত্ব নিয়ে উদ্ধারে এগিয়ে না আসায় ও জনগণের অনুরোধে বিজিবি সদস্যরা উদ্ধারে এগিয়ে যায়। মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই বিজিবি সদস্যরা কাজটি করেছে।’

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. শরিফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

এবিষয়ে কথা বলতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলেটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন