Homeআন্তর্জাতিকসাত বছর পর জাইকার স্বেচ্ছাসেবীরা আবার বাংলাদেশে আসছেন

সাত বছর পর জাইকার স্বেচ্ছাসেবীরা আবার বাংলাদেশে আসছেন

সাত বছর পর বাংলাদেশে জাইকার বৈদেশিক সহযোগিতা স্বেচ্ছাসেবক (জেওসিভি) কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে। চলতি মাসে জাপান থেকে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বাংলাদেশে আসেন। হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর ২০১৬ সালের জুলাই থেকে বাংলাদেশে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) স্বেচ্ছাসেবক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে শুরু হওয়া জাপানের সরকারি উন্নয়ন সহায়তার (ওডিএ) ৫০ বছর পূর্তিতে বৈদেশিক স্বেচ্ছাসেবক কার্যক্রম আবার শুরু হলো। আজ মঙ্গলবার জাইকা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে বাংলাদেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম জঙ্গি হামলা ঘটেছিল। ওই হামলায় জাপানের সাতজনসহ ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ২২ নাগরিক প্রাণ হারান।

জাইকার বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জেওসিভি জাপানের সরকারি উন্নয়ন সহায়তার অংশ হিসেবে পরিচালিত একটি বহুল স্বীকৃত সহযোগিতা প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে জাইকা। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাপানের নাগরিকেরা অংশীদার দেশগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন এবং দেশটির সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগান।

১৯৭৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ১ হাজার ২৮৪ জন স্বেচ্ছাসেবক পাঠিয়েছে জাইকা। তাঁরা গ্রামীণ উন্নয়ন; শিক্ষা; স্বাস্থ্য; তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি; কারিগরি প্রশিক্ষণ; বর্জ্য ব্যবস্থাপনা; ক্রীড়াসহ নানা খাতে ধারাবাহিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সদ্য বাংলাদেশে আসা জাপানের ফিজিওথেরাপিস্ট স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘জেওসিভি কার্যক্রম নতুন করে চালু হওয়ার পর জাইকার প্রথম স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। হাসপাতালে বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের সেবা করার ক্ষেত্রে আমি আমার জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে চাই।’

এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বলেন, ‘বাংলাদেশে আবার জেওসিভিকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। দেশের ফিজিক্যাল থেরাপির উন্নয়নে তার জ্ঞান ও দক্ষতা বিশেষভাবে কাজে লাগবে।’

জাইকা বাংলাদেশ দপ্তরের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবকেরা আমাদের সহযোগিতামূলক কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাংলাদেশের উন্নয়নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলা এবং দুই দেশের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এই স্বেচ্ছাসেবীদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে আরও অনেক স্বেচ্ছাসেবী বাংলাদেশে আসবেন।’

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন