Homeসারাদেশএডিসি হারুনকাণ্ডে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় আরও বাড়ল

এডিসি হারুনকাণ্ডে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় আরও বাড়ল

সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য আরও তিন কার্য দিবস সময় বাড়ানো হয়েছে। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মারধরের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত এডিসি হারুনের দায় পেয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তদন্ত কমিটি। এছাড়া এডিসি সানজিদা আফরিন, তার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক এবং ছাত্রলীগ নেতাদেরও দায় পাওয়া গেছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশও করেছে তদন্ত কমিটি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

১৯ সেপ্টেম্বর ডিএমপি কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল। তবে সেদিন প্রতিবেদন জমার সময় সাত দিন বাড়ানো হয়। সেই সাত দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আবারও তদন্ত প্রতিবেদন জমার মেয়াদ তিন কার্য দিবস বাড়ানো হলো।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে। যা পুলিশ ও প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানা হেফাজতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদের নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে পুলিশের রমনা বিভাগের তখনকার অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিএমপি। কমিটির সভাপতি ডিএমপি সদর দফতরের উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফ। অপর দুই সদস্য হলেন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, হাসপাতাল থেকে নেয়ার পর শাহবাগ থানার ওসির কক্ষে আটকে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধর করে পুলিশ। এডিসি হারুনের নেতৃত্বে শাহবাগ থানার পরিদর্শক গোলাম মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করেন। কমিটি এরইমধ্যে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে। ঘটনাস্থল বারডেম হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করেছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় যাদের যতটুকু দায় পাওয়া গেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব উল্লেখ করা হয়েছে। কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন