ওয়ানডে বিশ্বকাপ আসলেই ভয়ঙ্কর রূপে হাজির হন মিচেল স্টার্ক। ঘরের মাঠে ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন স্টার্ক। পরের বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার ছিলেন এই বাঁহাতি। দুই বিশ্বকাপে ১৮ ম্যাচ খেলেই ৪৯ উইকেট শিকার করেছেন স্টার্ক। আরও একটি বিশ্বকাপ সামনে আসতেই সংহারক মূর্তিতে হাজির তিনি।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পর অ্যাশেজেও প্রথম টেস্টের পর টানা চার ম্যাচেই খেলেছেন। ইংল্যান্ড সফরের শেষের দিকে কাঁধে চোট পান। পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর মিস করেন কুঁচকির চোটে। ভারত সফরেও প্রথম দুই ওয়ানডেতে বলে ছিলেন না। ফেরেন রাজকোটে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে।
বিশ্বকাপের আগে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তিরুবনন্তপুরমে বৃষ্টির কারণে ২৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে স্টিভ স্মিথের অর্ধশতকে ভর করে অস্ট্রেলিয়া সংগ্রহ করে ৭ উইকেটে ১৬৬ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই স্টার্কের তোপের মুখে পড়ে নেদারল্যান্ডস। ওভারের পঞ্চম বলে শিকার করেন ডাচ ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড। স্টার্কের ইনসুইংয়ের কোনো জবাবই ছিল না তার কাছে। পরের বলে এই বাঁহাতির শিকার তিন নম্বরে নামা ওয়েসলি বারোসি। এবারও ইনসুইঙ্গার, আর তার উত্তর খুঁজে পেতে ব্যর্থ বারোসি। ফেরেন বোল্ড হয়ে।
স্টার্ক তৃতীয় ওভারে ফেরেন ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভার করতে। এবার প্রথম বলেই তার শিকার অভিজ্ঞ বাস ডি লিড। ইংসুইঙ্গিং ইয়োর্কারে বোল্ড হয়ে যান ডি লিড। হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন স্টার্ক।
স্টার্কের তোপে বিপর্যস্ত নেদারল্যান্ডস আর খেলায় ফিরতে পারেনি। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ১৪.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান করে অরেঞ্জরা।
তবে প্রস্তুতি ম্যাচ হওয়ায় এই হ্যাটট্রিক পরিসংখ্যানে যোগ হচ্ছে না।