Homeজাতীয়জিএসপি প্লাসে বাংলাদেশের সুবিধার জন্য পাশে থাকবে ইইউ

জিএসপি প্লাসে বাংলাদেশের সুবিধার জন্য পাশে থাকবে ইইউ

স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বের হওয়ার পরও ইউরোপের বাজারে বিদ্যমান শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা চান বাংলাদেশি রফতানিকারকরা। এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আশ্বস্ত করে বলছে, জিএসপি প্লাসে সুবিধাজনক অবস্থান নিশ্চিতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জোটটি।

বাংলাদেশি পণ্য রফতানি আয়ের ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের মধ্যে ৪৮ শতাংশই এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে। এরমধ্যে আবার ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ১৬ লাখ ডলারের মোট তৈরি পোশাক রফতানি অর্ধেক গেছে জোটবদ্ধ ওই একটি বাজারেই।

গত অর্থবছরের এই বাজার পরিসংখ্যান যখন ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশের এমন শক্ত বাণিজ্যিক সম্পর্ক তুলে ধরছে তখন কড়া আলোচনা চলছে আসছে জানুয়ারি থেকে ইইউতে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন জিএসপি স্কিমে কতটা সুবিধা পাবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’।

এমন এক সময়ে বুধবার (৪ অক্টোবর) দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ-বাণিজ্য সম্প্রসারণে রাজধানী ঢাকায় ইউরোপীয়ান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই)।

যেখানে সংগঠনটির সভাপতি সামীর সাত্তার ইউরোপের বাজারে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা হারানোর শঙ্কার কথা উল্লেখ করেন। এ সময় চলমান সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।

ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের জন্য শুধু একটি পণ্য রফতানি গন্তব্য নয়, বরং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সহযোগী। আশা করি, ভবিষ্যতে ইইউ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়বে।

এ সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদারের পক্ষ থেকেও মেলে আশ্বাস। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কমিশনে চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় থাকা নতুন জিএসপি স্কিমে যেন সুবিধাজনক অবস্থান পায় বাংলাদেশ- সেজন্য পাশে থাকবে জোটটি।

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইলি বলেন,
আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি অন্তর্বর্তীকালীন সময় পার করছি। সবাই জানি, বাংলাদেশ নতুন জিএসপি’র আওতায় পড়তে যাচ্ছে, যা কার্যকর হবে ২০২৯ সালে। আমরা চাই, এজন্য দরকারি শর্ত পরিপালন বাংলাদেশের জন্য সহজ হোক। এটি ভালো যে, ৩২টি আন্তর্জাতিক চুক্তির মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশে কার্যকর রয়েছে। শ্রম আইন ইস্যুতে আরও কাজ করতে হবে- যেদিকে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও কাউন্সিল গভীরভাবে তাকিয়ে আছে।

ইউরোপীয় ইউনিউনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ লক্ষ্যপূরণে এগিয়ে যেতে চায় বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, সমস্যা যেগুলো রয়েছে আমরা সেগুলো কাটিয়ে উঠব। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিনিয়োগকারীরা এখানে রয়েছেন এবং তারা উৎসাহ দেখাচ্ছেন। কাজেই আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করে এগিয়ে যাব।

কয়েক ঘণ্টার এই আলোচনায় বাংলাদেশে ইউরোপীয়ান বিনিয়োগকারীদের টানতে বিশেষ সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দেয় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন