মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে শিকার বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর টেকসই প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাবে জাপান এমনটি জানিয়েছেন দেশটির সংসদীয় উপমন্ত্রী কোমুরা মাসাহিরো।
শনিবার (০৭ অক্টোবর) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু জাপানে গিয়েছিলেন এবার তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে গিয়েছেন। এতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে বলেও জানান কোমুরা মাসাহিরো।
তিনি আরও বলেন, এদেশে এসে আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত যে, বাংলাদেশের উন্নয়নের কাজগুলোতে জাপান সহযোগী হতে পারছে।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরন্তন প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে কোমুরা মাসাহিরো বলেন, আগামীকাল রোববার (৮ অক্টোবর) কক্সবাজার যাবো। আর রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর টেকসই প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাবে।
এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক সম্পর্ক ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও কীভাবে উন্নত করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনাল অপারেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জাপান আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরির্দশনে যাবেন কোমুরা মাসাহিরো। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাপানের সহযোগিতা প্রয়োজন আমাদের। মিয়ানমারের সঙ্গে জাপানের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে-দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেও জানান তিনি।