Homeজাতীয়পরিস্থিতি যাই হোক, সংবিধানের বাইরে নির্বাচন হবে না

পরিস্থিতি যাই হোক, সংবিধানের বাইরে নির্বাচন হবে না

নির্বাচনে বিএনপির আসা-না আসার ওপর নির্ভর করছে আওয়ামী লীগের কৌশল। এই মুহূর্তে কৌশল খোলাসা না করলেও দলটির নেতারা বলছেন, দল ও সমমনা জোটের কয়েক ধাপে প্রার্থী বাছাই করা শেষ হয়েছে। আবার নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত অন্য দলগুলোও। ক্ষমতাসীনরা বলছে, পরিস্থিতি যাই হোক সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো নির্বাচন হবে না।

একদিকে সরকার পতনে বিএনপির একদফার আন্দোলন। অন্যদিকে দেশি-বিদেশি নানা মহলের চাপ সামলাতে ব্যস্ত সরকার।

গেলো দুই নির্বাচনের মতো এবারও বিএনপির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে নজর আওয়ামী লীগের। বিএনপি নির্বাচনে এলে এক ধরনের কৌশল। আর না এলে বিকল্প কৌশল। দুটোই ঠিক করে রেখেছে আওয়ামী লীগ। তবে তফসিল ঘোষণার পর, নির্বাচনী কৌশল পরিষ্কার করবে ক্ষমতাসীনরা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, বিএনপি সবচেয়ে বড় বিরোধী দল। তারা নির্বাচন করলে একরকম, তারা নির্বাচন না করলে আমাদের দেখতে হবে, কাদের নিয়ে নির্বাচন করলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যাতে কোনো প্রশ্ন না ওঠে। ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে যাতে কোনো প্রশ্ন না ওঠে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, তফসিল ঘোষণার পর যখন নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে, তখন দলীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফোরাম সিদ্ধান্ত নেবে যে, জোটগতভাবে কোন পদ্ধতিতে নির্বাচনে অংশ নেবো নাকি এককভাবে অংশ নেবো।

সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়ে নির্বাচন নিয়ে কোনো সংকট বা শঙ্কা দেখছে না আওয়ামী লীগ।

নেতারা বলছেন, বিএনপি সরকারের ওপর কোনো চাপ তৈরি করতে পারেনি। আবার আন্তর্জাতিক কোনো পক্ষও সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের কথা বলেনি।

কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, বিদেশিরা স্পষ্ট বলে দিয়েছে যে, তারাও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায়। শেখ হাসিনাও তাই চান। তিনি নিশ্চিত করেছেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।

দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি যদি আভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে, তাদের নেতাদের দুর্নীতি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে নির্বাচনে অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়, সে কারণে তারা নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে পারে। এর জন্য জনগণের কোনো যায় নেই।

আন্তরিকভাবেই নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ চায় আওয়ামী লীগ। তবে নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে বিএনপির সাথে কোনো আলোচনায় বসতে চায় না ক্ষমতাসীনরা।

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন