Homeআন্তর্জাতিকইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ : নিহত ছাড়াল ২ হাজার ৩০০

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ : নিহত ছাড়াল ২ হাজার ৩০০

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) সঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের গত চার দিনের যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৩০০ জন, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮ হাজার। এই হতাহতদের মধ্যে সামরিক-বেসামকির উভয় লোকজনই রয়েছেন।

আইডিএফ এবং গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, গত চার দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ২০০ জন এবং আহত হয়েছেন ২ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ।

আর এই সময়সীমায় গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ১০০ জন মানুষ এবং আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৩৯ জন।

দুই বছর ধরে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি শেষে ৮ অক্টোবর শনিবার ভোর রাত থেকে দক্ষিণ ও মধ্য ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু করে গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এবং হামাসের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সূর্যের আলো পুরোপুরি ফোটার আগেই ৩ হাজারেরও বেশি রকেট ছোড়া হয়েছিল ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামকির স্থাপনা লক্ষ্য করে।

কাছাকাছি সময়ে হ্যাং গ্লাইডার ও মোটরচালিত গ্লাইডারে চেপে হামাসের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমাণ্ডের কার্যালয়ে গিয়ে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের বন্দি ও জিম্মি করার পাশাপাশি ওই কমান্ডের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মূল কমান্ড ও অন্যান্য শাখার কার্যালয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মোটরসাইকেল ও জীপে করে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করেন হামাসের আরও কয়েক শ’ যোদ্ধা।

গোয়েন্দা তথ্যের তথ্যের ঘাটতি ও পূর্বপ্রস্তুতি না থাকার কারণে হামাসের হামলার পর প্রথম দিকে খানিকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় ছিল ইসরায়েল। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই যুদ্ধে পূর্ণ শক্তিতে ফিরে আসে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)।

১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ হচ্ছে আল আকসা অঞ্চলে। ইসরায়েলের সরকার ইতোমধ্যে হামাসকে চিরতরে ধ্বংস করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, গত চার দিনে গাজা ভূখণ্ডের অন্তত ২০০ টি ‘লক্ষ্যবস্তু’ ধ্বংস করে দিয়েছে বিমানবাহিনী। রকেট ও বিস্ফোরক ছোড়ার জন্য এসব লক্ষ্যবস্তু ব্যবহার করত হামাস।

মঙ্গলবার ইসরায়েল-গাজার সীমান্তের একটি সেনা ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালেন্ত । সেখানে তিনি বলেন, ‘হামাস একটি পরিবর্তন চেয়েছিল এবং তা তারা পাবে। গাজা আর আগের মতো থাকবে না।’

‘আমরা আপাতত বিমানবাহিনী দিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করছি, এই পর্ব শেষ হলে আমাদের স্থলবাহিনী গাজায় প্রবেশ করবে।’

সূত্র : আল আরাবিয়া

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন