Homeআন্তর্জাতিকইসরায়েল-সৌদি আলোচনা স্থগিতের পরই ‘বিশেষ জরুরি সভা’ ডাকল ওআইসি

ইসরায়েল-সৌদি আলোচনা স্থগিতের পরই ‘বিশেষ জরুরি সভা’ ডাকল ওআইসি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসন নিয়ে সৌদি আরবে বিশেষ জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর বৃহত্তম জোট ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। সভায় গাজায় সামরিক সংঘাত বৃদ্ধি ও নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করবে সংস্থাটি।

এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বুধবার সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকের জন্য সদস্য দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ আমন্ত্রণ জানায় সংস্থাটি। বর্তমানে ওআইসির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে সৌদি আরব।

ওআইসির বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গাজার ক্রমবর্ধমান সামরিক পরিস্থিতি এবং সেইসঙ্গে অবনতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটি মন্ত্রী পর্যায়ে একটি জরুরী ওপেন-এন্ডেড বিশেষ সভার আহ্বান করেছে। বেসামরিক নাগরিকদের জীবন এবং এই অঞ্চলের সামগ্রিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিয়ে সভায় আলোচনা করা হবে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ওআইসির জরুরি বৈঠকের ডাক এমন এক দিনে এসেছে যখন সৌদি আরব ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা স্থগিত করেছে।

সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এএফপিকে বলেছে, ইসরায়েলের সাথে সম্ভাব্য সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে মার্কিন কর্মকর্তাদের অবগত করেছে দেশটি।

এর আগে ওআইসি এক বিবৃতিতে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান তীব্র লড়াইকে ‘ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন’ হিসেবে উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সৌদি আরবভিত্তিক মুসলিম দেশগুলোর এই জোট বলছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বিপজ্জনক ইসরায়েলি উত্তেজনা ও সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনায় ওআইসি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

ইসরায়েলের সামরিক হামলায় শত শত ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে ওআইসি। একই সঙ্গে ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে ৫৭ সদস্যের এই জোট।

গত ৭ অক্টোবর ভোরের দিকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ হামলা চালায় গাজার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাস। এখনো তারা স্বল্প পরিসরে রকেট হামলা চালাচ্ছে। এর জবাবে গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দিনদিন সেই হামলা জোরালো হচ্ছে। উভয়পক্ষের চলমান এই হামলা-পাল্টা হামলার এক সপ্তাহ চলছে আজ।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৭২৪ শিশুসহ ২ হাজার ২১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮ হাজার ৭১৪ জন। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার।

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন