তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শেখ রাসেলসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার প্রতি সম্মান প্রদর্শন তখনই পূর্ণতা পাবে, যখন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানসহ ১৫ আগস্টের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচিত হবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দলীয় নেতাদের সঙ্গে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া শেষে এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিনে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার সময় এই অবুঝ শিশু যে রাজনীতি বুঝত না, রাজনীতি করত না, রাজনীতির আশপাশেও ছিল না, তাকেও হত্যা করা হয়েছিল।
শেখ রাসেল দিবসে তার মর্মস্পর্শী ইতিহাস স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক যেটি এখন সিনেমা হলে চলছে, সেটি যারা দেখেছেন বা দেখবেন, তারা দেখতে পাবেন, সেই হত্যাযজ্ঞের সময় বাড়ির সিঁড়ির তলায় আশ্রয় নেয়া শেখ রাসেলকে যখন টানা-হেঁচড়া করা হচ্ছিল তখন শেখ রাসেল বলেছিল: ‘আমি মায়ের কাছে যাব’। খুনিরা তাকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের লাশের কাছে নিয়ে গিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে। অর্থাৎ, সেদিন খুনিরা যে কি নৃশংস, নির্মম, বর্বর ছিল সেটিরই প্রমাণ এই হত্যাকাণ্ড।”
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ভয়াবহতা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসেনকে যখন হত্যা করা হয় তখন নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়নি। অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ রাসেলের মতো শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল, নারী ও শিশুদের রেহাই দেয়া হয়নি। চার বছরের সুকান্ত বাবু, ১২ বছরের বেবি সেরনিয়াবাত, ১০-১১ বছরের আরিফ সেরনিয়াবাত এবং অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছিল। খুনিরা সেদিন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত করেছিল।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৫ আগস্টে সংঘটিত এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। যে খুনের মাধ্যমে তাদের উত্থান, সেই খুনের রাজনীতি তারা এখনও অব্যাহত রেখেছে।
দেশটাকে বিএনপি এখন বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায় মন্তব্য করে তাদের রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বানও জানান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
