সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে নানা আয়োজনে প্রবাসে বসবাসরত শিশু কিশোরদের নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) দূতাবাসে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সৌদি আরবের বাংলাদেশ কমিউনিটির দুটি স্কুল ও কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কয়েকশ শিশু কিশোর ও রিয়াদে বসবাসরত প্রবাসীরা অংশ নেয়।
মিশন উপপ্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা শহীদ শিশু শেখ রাসেলের প্রতি গভীর ভালোবাসা বুকে ধারণ করে প্রবাসের শিশু কিশোরদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতার কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল ছিল এক প্রাণবন্ত, উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় শিশু যে জাতির পিতার সান্নিধ্যে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠছিল। ঘাতক চক্র এই অমিত সম্ভাবনার শিশু শেখ রাসেলকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের সাথে নির্মমভাবে হত্যা করে যা ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।
মিশন উপপ্রধান আরও বলেন, শহীদ শেখ রাসেল আজ শিশুকিশোরসহ বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে গভীর ভালোবাসার নাম। তিনি সৌদি আরবে বেড়ে উঠা সকল শিশু কিশোরকে জাতির পিতার জীবনী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে একজন দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে জীবন গঠনের পরামর্শ দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন আজকের শিশুরাই আগামীর উন্নত বাংলাদেশ নির্মানে ভূমিকা রাখবে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সৌদি আরবের কমিউনিটি স্কুলের চারজন শিক্ষার্থীরা শেখ রাসেলের জীবনীর ওপর বক্তব্য দেন। শিক্ষার্থীরা শেখ রাসেল ও জাতির পিতার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের হত্যাকারী পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে বিচারের রায় কার্যকর করার অনুরোধ জানায়। অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের ওপর নির্মিত একটি থিম সং ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।