Homeআন্তর্জাতিকইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনার ইতি টানল সৌদি

ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনার ইতি টানল সৌদি

ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের সব আলোচনার ইতি টেনেছে সৌদি আরব। ইসরাইল ও ফিলিস্তিন সংঘাত শুরু হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার। এ সিদ্ধান্তের কথা যুক্তরাষ্ট্রকেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে। খবর সামা টিভির।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে গত কয়েক দশক ধরেই ইসরাইলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক বরফ শীতল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি কয়েকটি আরব দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে হাটতে শুরু করেছে।

এরপর সৌদিকেও রাজি করাতে কূটনৈতিক দৌড়ঝাপ শুরু করে ওয়াশিংটন। এক্ষেত্রে উভয় পক্ষ অনেকদূর এগিয়েছে বলেও বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা যাচ্ছিল। তবে সৌদি আরব বরাবরই বলে আসছে, ফিলিস্তিন ইস্যু সমাধানের পরই কেবল ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সম্ভব।

গত মাসে ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, উপসাগরের অন্যান্য দেশের উদাহরণ অনুসরণ করে এবং সৌদি-ইসরাইল চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের চাপের মধ্যে তার দেশ ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে আরও কাছাকাছি চলে এসেছে।

তবে হঠাৎ করেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। সোমবার (৯ অক্টোবর) প্রকাশিত সামা টিভির এক প্রতিবেদন মতে, আলোচনার অবসানের সিদ্ধান্ত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে। বিষয়টিকে দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে মার্কিন প্রচেষ্টার জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচনা স্থগিত করার সৌদি সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক কূটনীতি ও মধ্যপ্রাচ্য শান্তির ভবিষ্যৎও প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। রিয়াদের এই নাটকীয় সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যকার চলমান সংঘাত এ ব্যাপারে প্রভাবক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আব্রাহাম অ্যাকর্ডস নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তির অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন উভয়ই ইসরাইলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেয়।

যার ফলে দেশ দুটির সঙ্গে ইসরাইলের পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এরপর দেশটির নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বারবারই সৌদি আরবকে এই তালিকায় যুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি কূটনৈতিক পদক্ষেপও নেন তিনি।

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন