
আমদানিকারকদের দুর্ভোগ কমাতে ডলারের দাম কমিয়ে দিয়েছে সরকার। ২৩ নভেম্বর (২০২৩) থেকে আমদানিকারকদের জন্য ডলারপ্রতি ৫০ পয়সা কমিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।
সভা থেকে, প্রবাসী আয় ও রফতানি আয়েও ডলারপ্রতি ৫০ পয়সা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারিত হয়েছে ১১০ টাকা। তবে নতুন সিদ্ধান্তে বলা হয়, প্রবাসী আয়ে সরকারের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকও একই পরিমাণ প্রণোদনা দিতে পারবে। ফলে প্রবাসী আয় পাঠালে ডলার প্রতি সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা পাবেন দেশে থাকা প্রবাসীর পরিজনরা। এক্ষেত্রে ডলারের দাম কমলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না প্রবাসী এবং রফতানিকারকেরা।
২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডলারের মূল্য নির্ধারণী এই সভায় প্রায় ৪০টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও অন্যান্য ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে সংস্থা দুটি সময়ে সময়ে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
মূলত, আগের বাণিজ্য ঘাটতি এখন অনেক কমে এসেছে। চলতি হিসাবে (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স) ঘাটতি ছিল, তবে এখন উদ্বৃত্ত হয়ে গেছে। তাই ডলারের দাম বাড়ার আর কোনো কারণ নেই। এরপরেও ডলার ঘাটতির কারণে আমদানিকারকরা এলসি খুলতে অসুবিধায় পড়ছেন। পরিস্থিতি এখন এমন যে বেশি দাম দিতে চাইলেও প্রয়োজন মতো ডলার পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। এমনকি ব্যাংক থেকেও নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছিলো না। ফলে ডলারে মূল্য পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলারের সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এরপর থেকে এই দুই সংগঠন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরোক্ষ নির্দেশনায় রফতানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।