Homeঅর্থনীতিটিসিবির জন্য রাইস ব্রান তেল ও মসুর ডাল কিনবে সরকার

টিসিবির জন্য রাইস ব্রান তেল ও মসুর ডাল কিনবে সরকার

ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ৮ প্রস্তাব অনুমোদন ব্যয় হবে প্রায় ১১ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা

স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৬ হাজার টন মসুর ডাল ও ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল, পৃথক পাঁচটি লটে ইউরিয়া, রক ফসফেট ও ফসফরিক এসিড ক্রয় ও বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় ৩০০ মেগাওয়াট (এসি) সৌরবিদু্যৎ কেন্দ্র স্থাপনসহ ৮ প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১১ হাজার ৪৩০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এছাড়া অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে গম আমদানির লক্ষ্যে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করার প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২০তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৮তম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বিস্তারিত জানান।

অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ১টি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ৮টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৫টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২টি এবং বিদু্যৎ বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ৮ প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১১ হাজার ৪৩০ কোটি ৭৭ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫০ টাকা।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৬ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। নাবিল নাবা ফুড লিমিটেডের কাছ থেকে ৫৭ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকায় এই ডাল কেনা হবে। আলাদা আরেকটি প্রস্তাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবির জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনা হবে। মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে ৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকায় এই তেল কেনা হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘বিদু্যৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃক বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় ৩০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌরবিদু্যৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অব (১) এসিডবিস্নউএ পাওয়ার কোম্পানি, সৌদি আরাবিয়া; (২) কমফিট কম্পোসিট নিট লি. বাংলাদেশ; (৩) ভিয়েলেটেক্স স্পাইনিংলি. বাংলাদেশ এবং (৪) মিডল্যান্ড ইস্ট পাওয়ার লি. বাংলাদেশকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদু্যৎ ক্রয় করা হলে ২০ বছর মেয়াদে উক্ত কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১১.০৬৭ টাকা হিসেবে আনুমানিক ১০ হাজার ৭৬১ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক চট্টগ্রামের টিএসপি কমপেস্নক্স লিমিটেড (টিএসপিসিএল) এর জন্য ২৫ হাজার মেট্রিক টন (+১০%) রক ফসফেট (৭২% বিপিএল মিনিমাম) কেনা হবে। মেসার্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনপুট এর কাছ থেকে রক ফসফেট কিনতে ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ৮২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এছাড়া বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক চট্টগ্রামের টিএসপিসিএল এর জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন (+১০%) ফসফরিক এসিড কেনা হবে। মেসার্স বেস্ট ইস্টার্ন এর কাছ থেকে ৫৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় এই এসিড কেনা হবে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে মুনতাজাত, কাতার থেকে ১ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার ১৩০ কোটি ৫২ লাখ ২৯ হাজার ৫০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিসিআইসি’র আরেকটি প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে মুনতাজাত, কাতার থেকে ২য় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৩১ কোটি ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৫০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ এর কাছ থেকে ৩য় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১২৯ কোটি ১৮ লাখ ২৬ হাজার ২৫০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।

অতিরিক্ত সচিব জানান, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবটি হলো- খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে গম আমদানির লক্ষ্যে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন